তথ্য মন্ত্রণালয় ওটিটি প্লাটফর্ম বিষয়ে নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী একথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ ‘রেগুলেটরি জব’; নীতি, নীতিমালা তৈরি করে এই গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশকে এগিয়ে নেয়া। ওটিটি প্লাটফর্ম এটি একটি ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা। কিন্তু ওটিটি প্লাটফর্মে সিনেমা, নাটক, ওয়েব সিরিজ বা কোনো কন্টেন্ট রিলিজ করতে হলে এখনও অনুমোদনের ব্যবস্থা নেই। আমরা ইতোমধ্যেই নীতিমালার প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছি। সেই নীতিমালা খুব সহসা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করতে পারবো বলে আশা করছি।’
ওটিটি প্লাটফর্মের কন্টেন্ট এতো বিস্তৃত এবং ব্যাপক যে, সেন্সর বোর্ডের মাধ্যমে সেন্সর করা দুরূহ কাজ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ বছরে ৫০টি বা ১০০টি সিনেমা রিলিজ হয়, সেটি সেন্সর করা সহজ। কিন্তু ওটিটি’র হাজার কন্টেন্ট সেন্সর করা সহজ কাজ নয়। সেকারণে ভারতসহ অন্যান্য দেশে যেভাবে করা হচ্ছে সেভাবে আমরা একটি নীতিমালা খসড়া তৈরি করেছি যা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করবো।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গণমাধ্যমের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যুক্ত হয়েছে। মূলধারার গণমাধ্যমগুলো সঠিকভাবে কাজ করেছে কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকে করোনাকালেও অনেক গুজব রটানো এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয় এই ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, আইপি টিভি’র রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করাসহ অনেকগুলো কাজ ইতিমধ্যেই করেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিদেশে বসে বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষ নির্দিষ্ট কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করে মাঝে মধ্যেই নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই আমরা সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে সমস্ত ব্যক্তি বিশেষ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে যে সমস্ত দেশ থেকে এই অপপ্রচারগুলো চালায় সেই সমস্ত দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’