গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার চারটি হাসপাতালে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। বুধবার (৭ জুলাই) সকালে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মুখপাত্ররা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে ৫ ও ৬ জুলাই খুলনার তিন হাসপাতালে ১৭ জন করে মারা যান।
এদের মধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ১০ জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঁচজন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচজন মারা যান।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকালপারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় ৯ জন ও উপসর্গে একজন মারা যান। মৃতরা হলেন- খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গার ঝর্ণা বেগম (৬০) ও লবনচরার রুমানা বেগম (৭১), বটিয়াঘাটার নারায়ন চন্দ্র (৮০), বাগেরহাট ফকিরহাটের সুনীল রায় (৭৫), একই এলাকার বাগানবাড়ীর আব্দুল হামিদ (৮৭), নড়াইল নড়াগাতীর এসএম বোরহান (৪৫), যশোর সদরের ঝুমুর বেগম (২৫), কেশবপুরের সুশান্ত কুন্ডু (৫৫), একই এলাকার শরিফা খাতুন (২৭)।
হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ১৮৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এদের মধ্যে রেডজোনে ১১৬ জন, ইয়েলোজোনে ৩৪ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। আর সুস্থ হয়ে ৩২ জন বাড়ি ফিরেছেন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, খুলনার পাইকগাছার আব্দুল হালিম (৫০) ও সাতক্ষীরার আব্দুল মাজেদ শেখ (৬৫)। এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ৪৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- নগরীর ফুলবাড়ীগেট মিরেরডাঙ্গার রেজাউল ইসলাম (৭০), তেরখাদার আনন্দনগরের আকলিমা (৭৫), যশোরের কেশবপুরের পদ্মরানী (৬৪), বাগেরহাটের মংলার প্রভুনাথ (৫০), রামপালের রুহিকরণ (৬০)। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- খুলনা সদরের মুসলমানপাড়ার নাসরিন আরা বেগম (৪৫), সোনাডাঙ্গার মো. আব্দুল হাই (৬৭), ডুমুরিয়ার শাহাপুরের উম্মে কুলসুম (৭০), খুলনার টুটপাড়ার নাসিমা বেগম (৪৬) এবং নড়াইলের লোহাগড়ার আরিয়ানার বেলতিয়ার লুৎফর রহমান (৬২)। হাসপাতালে আরও ১৩১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।