জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘটে স্থলবন্দরগুলো থেকে দেশের অভ্যন্তরে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন হয়নি। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বন্দরগুলো এবং সৃষ্টি হয়েছে পণ্যজট। বন্দরে পণ্য রাখার জায়গা না থাকায় ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য নিয়ে অন্তত ৪০০টি ট্রাক বন্দর এলাকায় রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। বিশেষ করে, কাঁচামাল আমদানিকারকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কোটি কোটি টাকার কাঁচামাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এদিকে, যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল না করায় ভারত থেকে ফেরা কয়েক শ’ যাত্রীকে বেনাপোলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল-মোটেলে অবস্থান করতে হচ্ছে। এর মাঝে, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফেরার চেষ্টা করছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত বৃহস্পতিবার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ১ হাজার ৩৩৯ জন যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আসা-যাওয়া করেছেন। ধর্মঘটের কারণে আজ শনিবার (৬ নভেম্বর) যাত্রীর চাপ একটু কম ছিল। তারপরও আজ এক হাজারের মতো যাত্রী এরইমধ্যে আসা-যাওয়া করেছেন।
এদিকে, সাতক্ষীরা ভোমরা বন্দরের আমদানিকৃত পাঁচ শ’র বেশি আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকসহ ভারতীয় সীমান্তে ১ হাজারের মত গাড়ি আটকে রয়েছে বলে বন্দর সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখার দাবিতে গতকাল শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সারা দেশে পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা ধর্মঘটে নেমেছেন। এরইমধ্যে ধর্মঘটের দুই দিন গড়িয়েছে। এ কারণে আমদানি করা পণ্য নিয়ে যানবাহন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না।