নতুন করে আর কোন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না, উল্টো অগ্রিম জমাকৃত টাকাও ফেরত দেবে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
গ্যাস সংকটের কারণে ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল থেকে সারাদেশে নতুন আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধের নির্দেশ দেয় জ্বালানি বিভাগ। এর প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর জ্বালানি বিভাগ থেকে মৌখিকভাবে আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করার নির্দেশ দেয় জ্বালানি বিভাগ।
পরবর্তীতে এই সংকট আরো বেড়ে গেলে ২০১৯ সালের ২১ মে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আবাসিক, সিএনজি ও বাণিজ্যিক স্থাপনায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ করে দেয় জ্বালানি বিভাগ।
তিতাস সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২১ মে’এর আগে যারা ডিমান্ড নোটের (অগ্রিম) টাকা জমা দিয়েছেন, সম্প্রতি তাদের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ। এখন গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
গ্যাস মজুদ কম থাকায় নতুন সংযোগ দেয়া না হলেও তিতাসের গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার অর্ন্তভূক্ত বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে প্রায় পৌনে তিন লাখ গ্রাহক অবৈধভাবে সংযোগ নিয়েছেন। এখন এসব অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন, রাজধানীতে গ্যাস লাইন সংস্কার, গ্যাস অপচয় রোধে মিটার স্থাপনসহ সবগুলো বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।