করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো দেশের সিনেমা হলগুলো। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চলচ্চিত্রের তালিকাটাও দীর্ঘ হচ্ছিলো দিন দিন।
চলচ্চিত্র পাড়ায় লেগেছিল হতাশার বাতাস। দর্শকও বন্দি হয়ে পড়ছিলেন সেলফোনের বিনোদনে। তবে দৃশ্যপট বদলাতে শুরু করেছে। সিনেমা হলগুলো আবারও মুখোরিত হয়ে উঠছে।
৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকার বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সের চিত্রটা তাই বলে।
নির্মাতা রাশিদ পলাশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘পদ্মাপুরাণ’ এর মুক্তির প্রথম দিনেই মুখোরিত হয়ে ওঠে ঢাকার বসুন্ধরা সিটির
স্টার সিনেপ্লেক্স, শ্যামলি, সনি স্কয়ার ও যমুনা ব্লকবাস্টার। পরিচালক জানান প্রথম দিনই তার সিনেমা স্টার সিনেপ্লেক্সে হাউসফুল ছিল। ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামেও দর্শক ছবিটি দেখছে।
ঢাকার রাজারবাগের সুজন খাঁ পরিবারসহ এসেছিলেন ছবিটি দেখতে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার কাছে সিনেমটা ভালো লেগেছে। ছবিটা নাচ গানে ভরপুর না এটা সত্য, কিন্তু এ ছবিতে জীবন আছে, মানুষের গল্প আছে। আমাদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির উঁকিঝুকি পাওয়া যায়। একটা জনপদের হৃদয় ছোঁয়া এক টুকরো গল্প।’
কলা বাগানের দীপালি স্বামীর সঙ্গে এসেছিলেন পূজার কেনাকাটায়। শপিং শেষে স্বামীকে নিয়ে ঢুকে পড়লেন ‘পদ্মাপুরাণ’ দেখতে। তিনি তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমরা তো আসলে ছবি দেখার অভ্যাসটাই ভুলে যেতে বসেছিলাম। ছবির নাম দেখে মনে হলো ছবিটা দেখা যায়। আমার ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শিল্পীদের অভিনয়।’
পরিচালক বলেন, ‘প্রথম সিনেমাতে এতটা রেসপন্স পাবো ভাবিনি। সবাই প্রশংসা করছেন ছবিটি দেখে। আমি চেয়েছিলাম পদ্মাপুরাণ দিয়ে আমাদের বাংলা সিনেমার দিনটা আবার ফিরুক। সেটার কিছুটা ফল পাচ্ছি আমরা।’
ঢাকায় স্টার সিনেপ্লেক্স, শ্যামলি ও যমুনা ব্লকবাস্টারে ছবিটা দেখা যাবে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপে এবং চট্টগ্রামের সুগন্ধা সিনেমা হলে চলছে ছবিটি।
রায়হান শশীর চিত্রনাট্যে ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া মাহি, প্রসূন আজাদ, শম্পা রেজা, জয়রাজ, সুমিত সেনগুপ্ত, কায়েস চৌধুরী, সূচনা শিকদার, রেশমী, হেদায়েত নান্নু, আশরাফুল আশিষ, সাদিয়া তানজিন প্রমুখ।