অভিযোগ আছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা প্রান্তিকে পৌঁছে না। লুটে খায় মধ্যস্বত্তভোগীরা। এর ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের প্রায় পাঁচ লাখ খামারির মোবাইল নম্বরে নগদ প্রণোদনা পৌঁছে গেছে।
৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬ জন খামারিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মোট ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা নগদ প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ প্রণোদনা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান অনুষ্ঠানে খামারিদের নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রণোদনার অর্থ পৌঁছে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষি খাতে উন্নয়ন হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিগত তিন মেয়াদে কৃষির সবক্ষেত্রেই উৎপাদন বেড়েছে। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো পুষ্টি জাতীয় খাবারের নিশ্চয়তা দেওয়া।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘আমাদের দেশের মূল শক্তি জনগণের পরিশ্রম। তাদের উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা বারবার পরীক্ষিত। এজন্য করোনা আমাদের তুলনামূলকভাবে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি। করোনার মধ্যেও আমরা প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের যেকোনো কাজ শেখ হাসিনা সরকারের উচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণালী অধ্যায়। আরও প্রায় দুই লাখ খামারিকে প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। এটা আমরা যাচাই-বাছাই করছি, যাতে কোনোভাবে মধ্যস্বত্বভোগীরা প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের জন্য শেখ হাসিনার এ প্রণোদনা সহায়তা নষ্ট করতে না পারে।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের প্রান্তিকের খামারিদের ১৫টি ক্যাটাগরিতে ৪৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা এবং ৭৫টি উপজেলা থেকে যাচাইকৃত মৎস্য খাতের ৭৮ হাজার ৭৪ জনকে ৭টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন হারে ১০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।