বেক্সিমকো ও ইন্টারটেকের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর বেক্সিমকো হেলথের পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে চালু হলো পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) সেন্টার অফ এক্সিলেন্স (সিওই)। বুধবার এই পিপিই সেন্টার চালু হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. আর্ল আর. মিলার। এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপি এবং বেক্সিকোর গ্রুপ ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ নাভেদ হুসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পিপিই উৎপাদনে নতুন বৈশ্বিক কেন্দ্র হয়ে উঠছে দক্ষিণ এশিয়া। পাশাপাশি রপ্তানি এবং স্থানীয় চাহিদা মেটানোর আগে উৎপাদিত পিপিই নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কি না এবং এর গুণগতমান যাচাই করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে প্রেক্ষিতে বেক্সিমকোর সাথে ইন্টারটেকের কৌশলগত অংশীদারত্বের অংশ হিসেবে পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ১২ হাজার স্কয়ার ফিটের একটি সেন্টার ফর এক্সিলেন্স তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উৎপাদিত পিপিই আন্তর্জাতিক মানের কিনা তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া উৎপাদিত পিপিই ইউরোপ, আমেরিকা এবং অন্যান্য আর্ন্তজাতিক মানদন্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তাও নিশ্চিত করবে এই সিওই।
আর সিওই স্থাপনের ফলে বাংলাদেশে পিপিই সংশ্লিষ্ট খাতের সাথে জড়িত সমস্ত গ্রাহককে সামগ্রিক সেবা দিতে পারবে ইন্টারটেক। কাঁচামাল থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন সকল ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা যেন স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে মানসম্মত এবং পণ্যবিধি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর এবং বেসরকারি পণ্য উৎপাদনকারীদের সাথে পার্টনারিশিপের ভিত্তিতে কাজ করছে ইন্টারটেক।
ইন্টারটেক’র সিইও অঁদ্রে লাক্রয়া বলেন, ‘ইন্টারটেকের লক্ষ্য হলো মানসম্মত, সুরক্ষিত ও টেকসই জীবনমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীকে আরো বাসযোগ্য ও নিরাপদ করে তোলা। এরই অংশ হিসেবে আমরা বেক্সিমকোর সাথে অংশীদারত্ব স্থাপনের মাধ্যমে অত্যাধুনিক মানের সেন্টার ফর এক্সিলেন্স গড়ে তুলেছি, যা পিপিই পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করবে। বৈশ্বিক পিপিই উৎপাদনে বেক্সিমকো এগিয়ে আসায় এবং তাদের সাথে আমাদের অংশীদারিত্বের ফলে এই সংকটময় মুহুর্তে পৃথিবী আরও নিরাপদ ও সুন্দর থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।‘
বেক্সিমকোর সিইও সৈয়দ নাভেদ হুসেন বলেন, ‘ইন্টারটেকের সাথে নতুন এই অংশীদারিত্ব স্থাপনের ফলে আমি আনন্দিত। কারণ এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশকে পিপিই উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। গুণগত মান নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আমাদের বৈশ্বিক মানের পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ইন্টারটেকের দক্ষতা। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রস্তুতকারক, ক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা, ব্র্যান্ডসহ সকল অংশীদারী প্রতিষ্ঠান একইস্থান থেকে তাদের পণ্য ইউরোপ, আমেরিকাসহ অন্যান্য আর্ন্তজাতিক মানের কি না তা নিশ্চিত করার সুযোগ পাবে। এ উদ্যেগের ফলে পিপিই পণ্য রপ্তানি ও উৎপাদনে বাংলাদেশকে শীর্ষ অবস্থানে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।‘