বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌপথে পদ্মার তীব্র স্রোতে মাত্র ৫টি ছোট ফেরি দিয়ে পারাপারে ব্যয় হচ্ছে দ্বিগুন সময়। আর এ কারণে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের ঘাটে এসে পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টার পরে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে যানবাহনের চাপ কিছুটা কম থাকলেও স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দুই ঘাটেই যাত্রীরা রয়েছে চরম দুর্ভোগে।
পদ্মায় সব ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এর আগে ঘাট কর্তৃপক্ষ গতকাল রবিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা থেকে আজ সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে। এ সময় ঘাটে আটকা পড়ে কয়েক’শ যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাউদ্দিন আহমেদ আজ সকালে সংবাদমাধ্যমকে জানান, সকাল থেকে ৫টি ছোট ফেরি চলাচল করছে। তীব্র স্রোতের কারণে পারাপারে একটু বেশি সময় লাগছে। ঘাটে মানুষ ও যানবাহন ঠিকমতো পারাপার করা যাচ্ছে না। তবে, এর মাঝেই জরুরি সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) জামালউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাতে ফেরি না চলায় সকালে গাড়ির চাপ খুব বেশি বেড়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, কাঁচামালের গাড়িকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরিতে ওঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফেরির সংখ্যা কম আর ছোট ফেরি চলায় সব ধরনের যানবাহনের চালকদের ঘাটে এসে কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তবে, ঘাটে আটকা পড়া পণ্যবাহী ট্রাকগুলো অন্য নৌপথ দিয়ে চলে গেছে। তাই এখন আর ট্রাকের জট টার্মিনালে নেই। এখন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া বা শরীয়তপুরের আলুবাজার ফেরিঘাট দিয়ে নতুন ট্রাকগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে।