গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসের তাণ্ডবের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অস্থিতিশীল রয়েছে। এর মাঝে দাম কিছুটা নাগালে এলেও গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় দুই মাস ধরে স্বর্ণের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সর্বশেষ মে মাসেই দেশের বাজারে দু’দফায় ভরিতে ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
নতুন দাম অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৭০ হাজার ৩৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৬১ হাজার ৫৮৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজুস জানিয়েছে, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক জটিলতা ও নানা ধরনের দাফতরিক জটিলতার কারণে গোল্ড ডিলাররা স্বর্ণবার আমদানি করতে পারছে না। এ কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।
যখন আমাদের দেশে স্বর্ণের দাম বেড়েছিল, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮৮১ ডলার। গত সপ্তাহের লেনদেন শুরু হওয়ার পর তা বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ দশমিক ২০ ডলারে উঠে। তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বড় দরপতন হলেও পরবর্তী আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭০ ডলারে নেমে আসে।
তবে শুক্রবার ঘুরে দাঁড়ায় স্বর্ণের বাজার। একদিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বাড়ে ২০ দশমিক ২০ ডলার। ফলে এখন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯০ দশমিক ৮৫ ডলার। আর সপ্তাহ ব্যবধানে দাম কমেছে দশমিক ৬২ শতাংশ বা ১২ দশমিক ৩৫ ডলার।
বিশ্ববাজারে কমেছে রূপার দামও। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে রূপার ১ দশমিক ২০ শতাংশ বাড়লেও সপ্তাহ শেষে কমেছে দশমিক ৩৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স রূপার দাম দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৭৮ ডলার।
প্লাটিনামের দাম সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বেড়েছে দশমিক ৭১ শতাংশ। তবে মোট হিসেবে এর দাম কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।