মমতাজ ও আসিফের বন্ধুত্বে কি ফাটল ধরেছে? এই প্রশ্ন এখন মিডিয়া পাড়ার অনেকেরই মনে। মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে। যার শুরুটা করেছেন মমতাজ নিজেই।
গত সোমবার রাতে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে মহা ধুমধামে বড় ছেলে রণ’র বিয়ে দেন আসিফ।
বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও শোবিজের অনেকেই হাজির ছিলেন। সেই তালিকায় রুনা লায়লা, কনকচাঁপা, কুমার বিশ্বজিৎ, কবির বকুল, শওকত আলী ইমন, কণা, সালমাসহ অনেকেই ছিলেন। তবে এই বিয়েতে দাওয়াত পাননি পপ সম্রাজ্ঞী মমতাজ । ঘটনার শুরু এখান থেকেই।
এ নিয়ে আক্ষেপ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দেন মমতাজ। তিনি লিখেন, হায়রে রাজনীতি!!!! আজকে যদি এম,পি না হইতাম, তাহলে একটা বিয়ের দাওয়াত খেতে পারতাম 😭 যদিও তিনি সরাসরি আসিফের নাম উল্লেখ করেননি। তবে বুঝতে বাকি নেই গায়িকা কোন বিয়ের কথা বলেছেন।
মমতাজের এই খোঁচার জবাব দেন আসিফও। তিনি পাল্টা কমেন্টে লিখেন, ‘প্রিয় মম ( মমতাজ এমপি)। তুমি আমি সেরা পারিবারিক বন্ধু, এখানে কোনদিনই রাজনীতি প্রবেশের সুযোগ নেই। মাত্র চারদিন সময় পেয়েছি ছেলের বিয়ের জন্য। সবকিছুই হুট করে হয়ে গেছে। তোমাকে কন্টাক্ট করার মত সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা আমার কাছে নাই। তবে তোমাকে মন থেকে ফিল করেছি। আমি তোমার সবসময়ের বন্ধু। একদিন সময় দাও বাচ্চাদের সহ, আমরা বাসায় তোমার সারাজীবন দাওয়াত। কষ্ট নিও না বন্ধু, ভুল হলে ক্ষমা চাই। নিশ্চয়ই দ্রুত আমাদের দেখা হবে। ভালবাসা অবিরাম বন্ধু। আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কে রাজনীতির কোন চান্সই নেই, এবং তুমি সেটা জানো।’
মমতাজ ও আসিফ আকবর, বাংলা গানের জনপ্রিয় দুই কণ্ঠস্বর। চিন্তা মনন ও গানে একই পথের পথিক হলেও রাজনৈতিক পরিচয়ে দুইজনই ভিন্ন মেরুর দুই বাসিন্দা। একজন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংসদ অন্যজন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
তবে এখন দেখার বিষয় সব মান অভিমান ভুলে আসিফের দাওয়াতে হাজির হন কিনা মমতাজ। সেই অপেক্ষায় রইলাম আমরা।