স্বাধীনতার ৫০ সে এসেও কতোটা ভালো আছেন দেশের সম্পদ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা? বাকি মোল্লা একজন বীর যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে দেশ ও দেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দিতে হারিয়েছেন ডান পা। যার মর্যাদা হওয়া উচিত সবার উপরে তিনি কেন কাঁদছেন ?
কিসের এতো ক্ষোভ তাঁর? জানতে চাইলে বারবার বিরক্ত হন তিনি। চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নাই, আর কতো বলবো বলে কি বা হবে? দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে এ পর্যন্তই শেষ আমাদের ভালো থাকার কি দরকার? আমরা তো সব হারিয়েছি। না হলে পা হারিয়ে এখনো কেন এমন যন্ত্রণার জীবন বয়ে বেরাতে হবে?’
তাহলে কি আজও যুদ্ধ শেষ হয়নি তাদের? শরীরের এই ব্যাথাময় অকেজো অঙ্গ বয়ে বেরাচ্ছের ৫০ বছর। যাদের ত্যাগে স্বাধীন হলো দেশ তাঁদের চোখে পানি কেন প্রশ্ন বারবার।
বাকি মোল্লা জানান, জীবনের অন্তিম সময়ে এসে এখন আর কোনো স্বাধ নাই। ৩৫ বছর ধরে সরকারের দেয়া জায়গায় থাকছি নিজের সামর্থে ঘর করে, আজও পাইনি সরকারের দেয়া কোন ঘর। আমরা তো মরে যাব অনেকেই চলে গেছেন কিন্তু আমারা রাষ্ট্রের দেয়া সুযোগ পেলাম না এ জন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম?’
আজ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসে্ও আমাদের দেখতে হয়, শুধু পুনর্বাসনের জন্য আজও সরকারের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন বহু আহত স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। যারা সক্ষম তারা নিজে ব্যবস্থা করে বেঁচেছেন। অথচ যুদ্ধাহতদের চোখে পানি, অন্তরে ক্ষোভ।
হারিয়ে গেছেন বীরদের অনেকেই, যারা বেঁচে আছেন হয়ত আগামী পাঁচ বা ১০ বছর পর এই বীরযোদ্ধাদের একটি বড় অংশকে দেশ হারাবে চিরকালের মতো।
এরা দেশের পৌরাণিক কোনো চরিত্র নন, বরং বাঙালি বীর। তাদের রক্তেভেজা এই বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বীরের দেশে এমন বীররা কষ্ট পাবেন এমন প্রত্যাশা ভুলেও করে না দেশের মানুষ। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা সবকিছুর ঊর্ধ্বে ও সবকিছুর আগে তাদের পাশেই থাকুক বাংলাদেশ।