আশা করা যাচ্ছে, আগামী দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে বাংলাদেশ পাবে প্রায় ২ কোটি ডোজ করোনা টিকা। আর এই টিকাগুলো আসবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এবং চীন ও রাশিয়া থেকে। তারমধ্যে, আগামীকাল সোমবার (১৯ জুলাই) দেশে যে ৫০ লাখ টিকা আসবে, তার ২০ লাখ চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে কেনা। আর বাকি ৩০ লাখ মডার্নার তৈরি টিকা যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছে টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।
গতকাল শনিবার (১৭ জুলাই) সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, উপহার ও নিয়মিত বরাদ্দ হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকাগুলো আসবে। তারমধ্যে, আগামীকাল সোমবার পৌঁছাবে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া টিকা। এছাড়া, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে জাপানের উপহার দেওয়া টিকা এ মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের শুরুতে হাতে পাওয়া যাবে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, কোভ্যাক্সের নিয়মিত বরাদ্দ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ও ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা আসবে আগস্টের শেষের দিকে অথবা সেপ্টেম্বরের শুরুতে।
আশা করা হচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এই ৩০ লাখসহ মোট ১ কোটি ২৯ লাখ টিকা আসবে। আর চীন এই দফায় ২০ লাখ সিনোফার্মের টিকা ছাড়াও আগামী আগস্টে আরও ৪০ থেকে ৫০ লাখ টিকা পাঠাবে। এদিকে, রাশিয়ার সাথে চুক্তি হতে পারে এ মাসেই। রাশিয়া থেকেও পাওয়া যেতে পারে ১০ লাখ টিকা। সব মিলিয়ে অন্তত ২ কোটি ডোজ করোনা টিকার সংস্থান হতে পারে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।
দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় টিকা নিতেও মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার (১৭ জুলাই) বেলা আড়াইটা পর্যন্ত দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ৫ লাখের বেশি মানুষ। টিকার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, গণটিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে নিতে আপাতত টিকার সংকটে পড়তে হবে না।