দেশে সম্প্রতি বেড়েছে বন্য প্রাণী ও এদের আক্রমণ। গতকাল (সোমবার) রাতে বান্দরবানের লামার ফাইতংয়ে বন্য হাতির আক্রমণে চিংসাথুই মারমা নামের একজন মারা গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম শেখ।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাতে চিংসাথুই মারমা ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের এলাকা থেকে নিজ বাড়ি ফাদুর বাগানপাড়ার ফিরছিলেন। ওই সময়ে হাতির একটি দল তখন ওই পথ পার হচ্ছিল। চিংসাথুই হাতির পালের মুখোমুখি পড়ে যান। তিনি পালানোর চেষ্টা করলেও একটি হাতি তাকে আক্রমণ করে। তাকে শুঁড় দিয়ে ছুড়ে মারে। চিংসাথুই মারমার চিৎকারে এলাকাবাসী মশাল হাতে ছুটে আসলে হাতির পাল সরে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী চকরিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেই তিনি মারা যান।
এদিকে খুলনার রূপসা নদীর চরে বড় আকৃতির একটি কুমির দেখতে পেয়েছেন স্থানীয়রা। চরের যে স্থানে কুমিরটি দেখা গেছে তার পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে স্কুলের বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এদিকে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে এলাকার মসজিদগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে।
জানা যায়, স্থানীয় একজন কম্পিউটার দোকানদার রফিকুল ইসলাম কুমিরটি দেখেন তার ছবি তুলে ফেসবুক পোস্ট করেন। এর পরেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হলে কুমির দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসতে শুরু করেন।
যেখানে কুমিরটি দেখা যায়, তার পাশেই চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা খাতুন বলেন, রোববার স্কুল চলাকালীন কুমিরটি দেখা যায়। স্কুলটিতে সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। আপাতত কলাপসিবল গেট আটকে ক্লাস কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সম্প্রতি খুলনা এলাকার নদ-নদীতে কুমির দেখার খবর পাচ্ছি আমরা। কুমিরগুলো হঠাৎ এখানে কেন আসতে পারে, তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। তবে এ ধরনের ঘটনায় প্রাণীগুলোকে বিরক্ত না করে বনবিভাগকে খবর দেয়ার পরামর্শ তার।