দেশের বাজারে কিছুদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আগের তুলনায় দ্বিগুণ। বাজারে পেঁয়াজের সরবারহ কিছুটা কমেছে। যার ফলে অস্থির হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। দেশে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিবে সরকার।
উৎপাদন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে বন্ধ রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি।শুরুর দিকে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এক মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।ফলে আবারো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার কথা ভাবছে সরকার
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় কৃষিসচিব এ তথ্য জানান। কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আচে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। উৎপাদন ও মজুদ বিবেচনায় দেশে এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই অথচ বাজারে দাম কিছুটা বেশি। আমরা সব সময় দেশের বাজার মনিটরিং করছি। দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকলে শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানি বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্ৰ বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অধিশাখার উপসচিব মুনসুর আলম খান প্রমুখ।
সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ রয়েছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দেশে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও অব্যবস্থাপনার কারণে ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন না।