খাবারে শুধুমাত্র স্বাদ ভালো হলেই খেতে চায় সবাই। তবে খাদ্যের পুষ্টিমান ঠিক রেখে খাবার রান্না করতে হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, শুধুমাত্র স্বাদ দেখেই খাবার খাওয়া ঠিক নয়। বরং যেভাবে খেলে খাবার থেকে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় সেই পদ্ধতিতেই খাবার খাওয়া উচিত।
গবেষণায় বলছে, সবজি সিদ্ধ করা হলে জীবাণুমুক্ত হওয়ার সাথে সাথে তা আরও বেশি স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়। তবে সিদ্ধ করার সময় সবুজ থাকা অবস্থায় না থাকলে, অতিরিক্ত তাপ সবজির পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দেয়।
ভাপে সেদ্ধ করা খাবার খাওয়ার উপকারিতা-
পুষ্টি সংরক্ষণ করে
সেদ্ধ সবজি যেমন গাজর, ধুন্দুল এবং ব্রোকলির অনেক উপকারিতা আছে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি সংরক্ষিত থাকে।
রোগের ঝুঁকি কমে যায়
দৈনন্দিন জীবনে প্রস্তাবিত পরিমাণে সিদ্ধ সবজি আপনার শরীরের মধ্যে হৃদরোগ, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি আপনাকে সুস্থ রাখে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ায়
উত্তাপ, সবজির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ায় যা অক্সিডেশন দ্বারা মানবদেহে উৎপাদিত রসায়ন (অস্থির অণু) অকার্যকরী করে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
পুষ্টি অক্ষত থাকে
সুস্বাদু খাবার তৈরির জন্য আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডুবো তেলে ভাজা এবং ফোটানোর মতো পদ্ধতি ব্যবহার করি, যা পুষ্টির ক্ষতি করতে পারে। শাক-সবজি এবং অন্যান্য খাবার স্টিমিং করলে তাতে সব ধরনের পুষ্টি বজায় থাকে। যে কারণে আমাদের শরীর বিভিন্ন পুষ্টি থেকে উপকৃত হয়।
সময় বাঁচায়
সিদ্ধ রান্না সবচেয়ে সহজ এবং তাড়াতাড়ি করা যায়। রান্নার প্রক্রিয়া এবং এটিতে খুব কম উপাদানের প্রয়োজন হয়।
হজমক্ষমতা বাড়ায়
ভাপে সেদ্ধ করা খাবার তৈরিতে তেল বা মসলার ওপর নির্ভর করতে হয় না, এটি পাচনতন্ত্রের কাজ সহজ করে দেয়। রান্নার এই পদ্ধতি নিশ্চিত করে যে আপনার খাবার সহজে হজমযোগ্য এবং স্বাস্থ্যকর অন্ত্র বজায় রাখে। অতএব, ভারী, চর্বিযুক্ত খাবারকে বিদায় বলুন আর ভাপে তৈরি খাবার বেছে নিন!
ওজন কমায়
আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তবে স্টিমিং করা খাবার আপনার জন্য সেরা পদ্ধতি হতে পারে। ওজন কমানোর সময় অনেকেই শাক-সবজি বেছে নেন। কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে রান্নার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে না। তাই এক্ষেত্রে স্টিমিং পদ্ধতিকে বেছে নিতে পারেন। এতে ওজন কমানো অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
রোগের ঝুঁকি কমে যায়
দৈনন্দিন জীবনে প্রস্তাবিত পরিমাণে সিদ্ধ সবজি আপনার শরীরের মধ্যে হৃদরোগ, ক্যান্সার, স্থূলতা ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি আপনাকে সুস্থ রাখে।