হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে গেছে। টানা দরপতনের মাঝে সপ্তাহ ব্যবধানে এই ধাতুর দাম আউন্স প্রতি ২৫ ডলার বেড়েছে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে দাম বাড়লেও এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে দাম বাড়েনি। সোনার দাম এভাবে বাড়তে থাকলে দেশের বাজারেও দাম বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। তবে দেশের বাজারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী সোমবার পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারেও সোনার দাম সমন্বয় করা হবে।
বিশ্বজুড়ে করোনা প্রবাহের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ওঠানামা করতে থাকে। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও এপ্রিল ও মে সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকে।
গত মে মাসে দেশের বাজারে সোনার দাম দুই দফায় ভরিতে চার হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ানো হয়। তবে এর পরের মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামে বড় পতন হয়। ফলে জুন মাসে বাংলাদেশেও মূল্যবান এই ধাতুর দাম কমানো হয়।
গত ১ অক্টোবর বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) ভরিতে এক হাজার ৫১৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করে। যেখানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৭১ হাজার ৯৬৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৬৮ হাজার ৮১৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৬০ হাজার ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ৪৯ হাজার ৭৪৭ টাকা।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৭৬৭ দশমিক ৩৪ ডলার। আর সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে এক হাজার ৭৯২ দশমিক ৭৯ ডলারে উঠে এসেছে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ২৫ দশমিক ৪৫ ডলার বা ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।