করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ৭৩ লাখ ছাড়িয়েছে। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ২৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। মঙ্গলবার এ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি। তাহলে একদিনে করোনায় বিশ্বে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৪ হাজারের মতো মানুষ।
করোনা সংক্রমণ সম্পর্কিত পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৭৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৮ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ১৭১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭ কোটি ৯২ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৭ জন।
করোনার প্রভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৭৭ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৬ জন। আর করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭২ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৭৬ লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন।
অন্যদিকে বরাবরের মতোই সংক্রমণ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারত। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৩০০ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৮০ জন।
এদিকে ব্রাজিলের অবস্থাও বেশ সংকটপূর্ণ। তৃতীয় স্থানে থাকা দেশটিতে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৯৬ লাখ ২ হাজার ৩৪ জন। আর এতে মারা গেছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৮ জন।
তালিকার চতুর্থ স্থানে রাশিয়া, পঞ্চম যুক্তরাজ্য এবং ষষ্ঠ ফ্রান্স। আর সপ্তম স্থানে স্পেন, অষ্টম স্থানে ইতালি, নবম স্থানে তুরস্ক এবং দশম স্থানে আছে জার্মানি। এই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ৩১ তম।
প্রসঙ্গত গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। কিন্তু তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর চীনের বাইরে ফিলিপাইনে গত ২ ফেব্রুয়ারি করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে।
