fbpx

খোলা মাঠে আদায় করা যাবে ঈদের জামাত  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শর্ত সাপেক্ষে ঈদুল আজহার জামাত মসজিদের পাশাপাশি ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজন করা যাবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তিনটি ঈদের পর এবার মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা খোলা মাঠে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

মঙ্গলবার এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা এবং সমন্বয় করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়, সেগুলো হলো-

১. ঈদুল আজহার জামায়াত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে।

২. মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪. করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদ/ঈদগাহে ওযুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৫. মসজিদ/ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে।

৬. ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করে দাড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

৮. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হলো।

৯. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১০. করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে ঈদের জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply