fbpx

ছুটি নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন সরকারি শিক্ষকরা  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের ৪৩ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শিক্ষকের সংখ্যা মোট ১৫ হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৭ জন শিক্ষক বিভিন্ন ধরনের ছুটিতে রয়েছেন। সে হিসেবে ২৬ শতাংশের বেশি শিক্ষক ছুটিতে আছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

৬ জানুয়ারি সংস্থাটি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন (২০১৯) প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে বলা হয় ছুটিতে থাকা বেশিরভাগ শিক্ষকই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন ক্লাস নিচ্ছেন। যার ফলে প্রতি বছর এই ছুটি নেয়ার হার বাড়ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ২৭ শিক্ষক অন্তত ৫ ধরনের ছুটিতে ছিলেন। এসব শিক্ষকের মধ্যে শিক্ষা ছুটিতে আছেন ২ হাজার ২৬৪ জন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৩৩ জন। এছাড়া প্রেষণ বা লিয়েন নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন ৭৮ জন।

অন্যদিকে বিনা বেতনে ছুটিতে আছেন ৬৫ জন এবং ছুটি শেষ হওয়ার পরও অননুমোদিতভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন ১৩ জন শিক্ষক। ২০১৮ সালে এর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭০ জন ও ২৫ জন।

আর খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৬১৯ জন চাকরি করছেন। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা বেড়েছে ৫২২ জন। ২০১৮ সালে এই ছুটিতে ছিলেন ১ হাজার ৯৭ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের ১০২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ২০৯ শিক্ষক খণ্ডকালীন চাকরি করছেন। এদের মধ্যে অধ্যাপক ১ হাজার ৩০৮ জন, সহযোগী অধ্যাপক ৬০৩ জন, সহকারী অধ্যাপক ৭৪৩ জন এবং প্রভাষক ১ হাজার ৩২৮ জন। আর অন্যান্য ধরনের খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ২২৭ জন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সাধারণত গবেষণা বা উচ্চশিক্ষার ছুটি দেয়া হয়। কিন্তু অনেকে সে কাজটি না করে আর্থিক আয়ের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেসকল শিক্ষক যান, তারা সময়মতো ফিরলে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে শিক্ষকরা আরও কিছু ছুটি নিয়ে থাকেন। তবে শিক্ষকরা এ সকল ছুটি নিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হচ্ছেন’।

Advertisement
Share.

Leave A Reply