fbpx

ঢাবির অধ্যাপককে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবকের স্বীকারোক্তি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক সাঈদা গাফ্ফারকে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে তাকে গাইবান্ধা থেকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর অধ্যাপক সাঈদা গাফ্ফারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায় স্বীকার করে ওই যুবক।

ওই যুবকের তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই গাজীপুরের কাশিমপুর ইউনিয়নের পানিশাইল এলাকার একটি আবাসন প্রকল্প থেকে শুক্রবার দুপুরে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত ওই যুবকের নাম আনোয়ারুল ইসলাম। সে অধ্যাপকের নতুন বাড়ি নির্মাণে কাজ করতেন। আনোয়ারকে গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।

নিহত সাইদা খালেকের বয়স ৭১। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। গত ১১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা।

তিনি বলেন, ‘ওই অধ্যাপক যে বাসায় ভাড়া থাকতেন তার পাশের জমিতে তিনি বাড়ি নির্মাণের কাজ করাচ্ছিলেন। শুক্রবার সকালে সেই প্রকল্পের আনুমানিক ২০০ গজ দূর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অধ্যাপকের ছেলে গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফোনে আমাদের জানায়, তার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, বাসার দরজা খোলা। পরে রাত ৯টার দিকে তার মেয়ে সাদিয়া এসেও মাকে বাড়িতে পাননি। পরে রাতে সাদিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।’

আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি মাহবুব-এ খোদা বলেন, ‘আনোয়ার তার সঙ্গীদের নিয়ে ১১ জানুয়ারি নিহত অধ্যাপকের বাসায় লুটপাট করে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন। পরে মির্জাবাড়ি থেকে কিছুটা দূর একটি জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে তাকে ফেলে দেয়।’

পানিশাইল এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক প্রকল্পের সিকিউরিটি ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘বাড়ির কাজ দেখাশোনার জন্য ৩-৪ মাস আগে প্রকল্পের পাশে স্থানীয় মোশাররফ মৃধা নামে এক ব্যক্তির বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া নেন। একটি কুকুর পোষতেন তিনি। উনার ছেলে-মেয়েরা কোথায় থাকেন তা জানি না। মাঝেমধ্যে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় যেতেন।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply