১০ দিনের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার (২১ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। এ সময় তিনি ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হন। ছবি : বিটিভি ওয়ার্ল্ডের সৌজন্যে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনায় মানুষ যেন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সেজন্য দলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুধু সভা-সেমিনার আর আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না, দরিদ্রদের সাহায্যও করতে হবে। আর তাই ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি সহযোগী সংগঠনকে নিজস্ব কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এই কর্মসূচি ঢাকা বা মহানগর পর্যায়ে শুধু নয়, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যন্তও করার কথা বলেন তিনি।
সরকার প্রধান এ সময় তাঁর বক্তব্যে ‘শস্যক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস বুকে স্থান পাওয়ায় কৃষি ইনস্টিটিউটসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে যে কৃষক এই কাজটি করেছেন, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘যিনি এই কাজটি করেছেন, তিনিই আমাদের পথ দেখিয়েছেন। কৃষক ও মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে জাতির পিতার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। আর তা আন্তরিকতা দিয়ে করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা সেটা পারবো।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর দল ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সবার ভোটে আজ তাঁর সরকার ক্ষমতায় এসেছে বলেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা সম্ভব হচ্ছে।
দলের কার্যালয়ে এ সময় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ দলের অন্যান্য সদস্যরা।