বিশ্বের প্রায় সব হিমবাহ দ্রুতগতিতে গলছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এমনটি হচ্ছে। চলতি শতকেই এক-পঞ্চমাংশের বেশি বৈশ্বিক সমুদ্রস্তর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে হিমবাহ গলা পানি। এমন তথ্যই উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গবেষকদের গবেষণায়। বার্তা সংস্থা এএফপি দিয়েছে এই খবর।
গবেষকরা বলেছেন, বিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে হিমবাহ গলার হার বাড়তে শুরু করে। গবেষকদের দলটি প্রথমবারের মতো গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তর বাদে পৃথিবীর ২ লাখ ২০ হাজার হিমবাহ পর্যবেক্ষণ করেছেন। গত দুই দশকে হিমবাহ গলার সঠিক হার মূল্যায়ন করতে তাঁরা এ গবেষণা চালান।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার টেরা কৃত্রিম উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিশ্বের হিমবাহগুলো গড়ে প্রতিবছর ২৬৭ বিলিয়ন টন বরফ হারিয়েছে। এতে যে পরিমাণ পানি সমুদ্রে মিশেছে, তা প্রতিবছর সুইজারল্যান্ডকে ৬ মিটার পানির নিচে ডুবিয়ে ফেলতে পারে।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে নেচার সাময়িকীতে। সবচেয়ে দ্রুতগতিতে গলা হিমবাহগুলো আলাস্কা ও আল্পসে অবস্থিত। গবেষকেরা পামির পর্বত, হিন্দুকুশ ও হিমালয়ের হিমবাহগুলো ধরে রাখা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব রয়েছে হিমবাহ গলার ক্ষেত্রে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম মূল নির্দেশক। গবেষকেরা যদিও হিমবাহ গলার কারণ নিয়ে গবেষণা করেননি, তবে তাঁরা ওই অঞ্চলে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন।