fbpx

নতুন কাউকে আর ঋণ দিতে পারবে না ন্যাশনাল ব্যাংক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ বিতরণে লাগাম টেনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেনামি ঋণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ব্যাংকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে জানিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ফলে এখন থেকে ব্যাংকটি আর কোনো ঋণ দিতে পারবে না। আর চাইলেও ইচ্ছেমতো যে কাউকে নিয়োগ দিয়ে ব্যাংক পরিচালনা করতে পারবে না। এছাড়া শীর্ষ গ্রাহকদের ঋণ আদায়ে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। গত সোমবার ন্যাশনাল ব্যাংককে এই নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আবদুল বারী। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেন নি।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত ৮৭ শতাংশে না আসা পর্যন্ত কোনো ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। বর্তমানে ব্যাংকটির ঋণ-আমানত অনুপাত ৯২ শতাংশ। ব্যাংকটির আমানত প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা ও ঋণ ৪১ হাজার কোটি টাকা। ফলে ব্যাংকটিকে ঋণ দিতে হলে আমানতে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি ঋণ আদায় আগের চেয়ে বাড়াতে হবে।

চিঠি অনুযায়ী, ব্যাংকটি যদি ঋণ-আমানত অনুপাত ৮৭ শতাংশে নামিয়ে এনে ঋণ দিতে চায়, তাহলেও ঋণে ১০ শতাংশের বেশি বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হতে পারবে না।

চিঠিতে ব্যাংকটির জন্য বড় অঙ্কের ঋণ ও একক গ্রাহক ঋণসীমা নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা, এর ৫ শতাংশ, অর্থাৎ ১৫৩ কোটি টাকা হবে বড় ঋণের সীমা। অন্যদিকে একক গ্রাহক ঋণসীমা হবে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ বা ৩০৬ কোটি টাকা। এই সীমা নগদ ঋণ (ফান্ডেড) ও ঋণ সুবিধা (নন-ফান্ডেড) ঋণসহ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংকটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ঋণ অধিগ্রহণ বা কিনতে পারবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শীর্ষ ২০ ঋণগ্রহীতার ঋণ আদায়ের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিঠিতে আরও বলেছে, ব্যাংকটিতে উপদেষ্টা, পরামর্শক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিম্নতর দুই পদে নিয়োগ দিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply