মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকসহ প্রবাসীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি ও প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য মালয়েশিয়া সরকার ‘ই-লকার’ চালু করবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা বিন জাইনুদ্দিন।
মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিফেন্স সার্ভিস এশিয়া (ডিএসএ) উপলক্ষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মালয়েশিয়া সফরে আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে মালয়শিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকসহ প্রবাসীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি ও প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য মালয়েশিয়া সরকার ‘ই-লকার’ চালু করবে। সেই লকারে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশীদের বিস্তারিত তথ্য থাকবে।
ই-লকারের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশীদের তথ্যসমূহ ডাটাবেজ আকারে সন্নিবেশ করার জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার অনেক কাজ করেছে। এন আই ডি, পাসপোর্টসহ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী বা মালয়েশিয়ায় কেউ যাতে কোনভাবে প্রতারিত না হয় সে লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য উভয় পক্ষ একমত পোষণ করেন। এক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য মালয়েশিয়া প্রস্তাব করেন। এছাড়া মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পর্কে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেন।
হামজা বিন জাইনুদ্দিন আরও জানান, মালয়েশিয়ায় অনেক নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তাকর্মীও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে দ্রুত ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।