fbpx

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইভ্যালির তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম ও মার্চেন্টের পাওনা প্রায় ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে’ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রাথমিক পর্যায়ের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই অংশ হিসেবে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির সচিব মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

দুদক সচিব এ সময় বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের প্রয়োজনেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) ইত্যাদি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে, ইভ্যালির বিষয়ে এখনও কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আনোয়ার হোসেন আরও জানান, ইভ্যালি নিয়ে শুধু দুদক নয়, অন্য সংস্থাগুলোও কাজ করছে। তাই সংস্থাগুলোর তদন্তের অগ্রগতি, তাদের পদক্ষেপগুলোও অনুসন্ধানের স্বার্থে আমলে নেবে দুদক।

তবে, মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে খোঁজ নিতে দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবারও চিঠি পাঠাবে বলে দুদক সূত্র থেকে জানা গেছে।

এর আগে, ইভ্যালি গত ১৯ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাদের মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার হিসেবে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও এমডি দিয়েছেন। বাকি ৫৪৩ কোটি টাকা কোম্পানিটির চলতি দায়।

আরও জানা গেছে, ইভ্যালি নিজের ব্র্যান্ড মূল্য নির্ধারণ করেছে ৪২৩ কোটি টাকা। দায়ের বিপরীতে এর চলতি সম্পদ রয়েছে ৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আর সম্পত্তি, স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি মিলিয়ে রয়েছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক জুন মাসে ইভ্যালির ওপর এক প্রতিবেদন তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানায়, প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও তাদের রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার চলতি সম্পদ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply