fbpx

বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৭ কোটি ৩১ লাখ, শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রে টিকাদান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সারা বিশ্বে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দিন দিন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ৭ কোটি ৩১ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন প্রায় ১৬ লাখেরও বেশি মানুষ।

করোনা সংক্রমণ সম্পর্কিত পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশ্বে করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৪১৮ জন। একই সময়ের মধ্যে বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৯০০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৭৬ জন।

এই মহামারীকে সামাল দিতে নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। ফলে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮২২ জন। আর মারা গেছেন ৩ লাখ ৮ হাজার ৮৯ জন। সেখানে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯৮ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৩ জন।

এদিকে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট ফাইজার ও তাদের জার্মান সহযোগী বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনা টিকাটি সেখানে প্রয়োগ করা হচ্ছে।

নিউ ইয়র্কের কুইন্স লং আইল্যান্ড ইহুদি মেডিকেল সেন্টারে আইসিইউতে থাকা এক নার্সকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি সর্ববৃহৎ টিকাদান কর্মসূচি হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

টিকা নেওয়ার পর নার্স স্যান্ড্রা লিন্ডসে বলেছেন, “এই টিকাকে অন্য কোনো টিকার চেয়ে আলাদা মনে হয়নি। আমি আশাবাদী, স্বস্তি বোধ করছি। আমার মনে হচ্ছে নিরাময় আসবে। আমি আশা করি, এটি আমাদের ইতিহাসের ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’ সময়ের সমাপ্তির সূচনা করবে। আমি জনগণকে বলতে চাই, এই টিকাটি নিরাপদ।”

এদিকে, টিকাদান কর্মসূচি শুরুর কয়েক মিনিট পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি টুইট করেন। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন- “প্রথমবারের মতো টিকা প্রদান শুরু। অভিনন্দন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! অভিনন্দন বিশ্ব”।

অন্যদিকে, বরাবরের মতোই সংক্রমণ তালিকার ২য় স্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারত। তবে, দেশটিতে আপাতত করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল আছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৬ হাজার ৫০৭। আর প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৬ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। সেখানে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৯ লাখ ২৯ হাজার ৪০৯। আর এতে মারা গেছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৫ জন।

তালিকার চতুর্থ স্থানে রাশিয়া, পঞ্চম ফ্রান্স এবং ষষ্ঠ যুক্তরাজ্য। আর ইতালিকে পেছনে ফেলে তুরস্ক সপ্তম স্থানে চলে এসেছে। ইতালি এসেছে অষ্টম স্থানে। নবম স্থানে আছে স্পেন এবং দশম স্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা। এই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ২৬তম।

তবে নতুন করে মেক্সিকোতে করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে একদিনে ৩৪৫ জন মারা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। কিন্ত তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।

চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর চীনের বাইরে ফিলিপাইনে গত ২ ফেব্রুয়ারি করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply