মিয়ানমারে বিভিন্ন শহরে সামরিক যান নামানো হয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে এই প্রথম সড়কে সামরিক যান নামানো হলো।
এদিকে, নতুন করে আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, সোমবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
উত্তরাঞ্চলের কাচিন প্রদেশে বিক্ষোভের নবম দিন আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালানো হয়েছে। এই রাজ্যে একটি প্ল্যান্টে সেনা মোতায়েন করার পর বিক্ষোভকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা ছিল, সেনাবাহিনী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের দখল নিয়েছে।
বিক্ষোভ দমনে রাতের অন্ধকারে আটক অভিযান চালাচ্ছে সেনা বাহিনী। এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে সাড়ে তিনশরও বেশি আন্দলোনকারীকে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে ‘সন্দেহভাজন বিবেচনায়’ ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বিক্ষোভকারী ও ভিক্ষুরাও রয়েছেন।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা সেনা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করার অভিযোগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয়ো বেশ কিছু দেশ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতা না চালাতে সামরিক বাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছে।