করোনা ভ্যাকসিন দেশে আসছে জানুয়ারির মধ্যেই। আর তা মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানো নিয়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম ঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) তৈরি করছে সরকার। এটি গুগল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
সংশ্লিষ্টসূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হলে এই অ্যাপে নিজেদের তথ্য দিয়ে তালিকাভুক্ত করতে হবে। সেখান থেকে সরকার টিকা গ্রহীতার সম্পর্কে যেমন সব তথ্য পাবেন, তেমনি যারা টিকা নেবেন, তারাও পরবর্তী আপডেট সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ডা. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ‘মোবাইল ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এটি সবার জন্যই উন্মুক্ত থাকছে। যারা টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন, তাদেরও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে যে তিন শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসবেন তারা হচ্ছেন, সব ধরণের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা এবং সমাজকর্মী যারা কোভিড মোকাবেলায় সরাসরি জড়িত। এদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স এবং মিডওয়াইফারি পেশায় নিয়োজিত কর্মী, মেডিকেল ও প্যাথলজি ল্যাব কর্মীরা, পেশাদার স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা, সাইকোথেরাপির সাথে সংশ্লিষ্টরা, মেডিসিন পারসোনাল, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালক মিলে তিন লাখ ৩২,০০০ জন।
সব সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্মী যারা স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন ধাপে কাজ করে কিন্তু সরাসরি কোভিড-১৯ মোকাবেলার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় যেমন স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যবস্থাপনা কর্মী, বাণিজ্য কর্মী, লন্ড্রি কর্মী, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য গাড়ির চালক-এমন এক লাখ ২০,০০০ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
এছাড়া দুই লাখ ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা, পাঁচ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি ফ্রন্ট লাইনে কাজ করা আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যেমন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সদস্য, তিন লাখ ৬০ হাজার অন্যান্য বাহিনী যেমন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, কোস্ট গার্ড ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্য, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ৫০ হাজার কর্মকর্তা, ফ্রন্ট লাইনে কাজ করা সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী ৫০,০০০ জনকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
সূত্র আরো জানায়, এই ধাপে আরো যারা ভ্যাকসিন পাবেন তারা হচ্ছেন, জনপ্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা কর্মী, ধর্মীয় নেতা, দাফন ও সৎকারে নিয়োজিত কর্মী, ওয়াসা, ডেসা, তিতাস ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, স্থল, সমুদ্র ও বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ, প্রবাসী শ্রমিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মী, ব্যাংক কর্মীজরুরি ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মীরাও এ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের আওয়ায় আসবে।