অনলাইনে জলমহাল ইজারার আবেদন দাখিলের সুবিধা চালু করলো ভূমি মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, land.gov.bd ভূমিসেবা কাঠামো থেকে অথবা সরাসরি jm.lams.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে জলমহাল ইজারার জন্য আবেদন দাখিল করা যাবে।
এছাড়া, এই ওয়েবসাইট থেকে জলমহাল ইজারার আবেদন অনলাইনে দাখিল এবং ইজারা প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানা যাবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি-২০০৯ অনুযায়ী নিবন্ধিত ও প্রকৃত মৎসজীবী সমবায় সমিতি জলমহাল ইজারা প্রাপ্তির লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়, সাধারণ আবেদনে জেলা ও উপজেলায় আবেদন দাখিল করে থাকে।
কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিদ্যমান পদ্ধতিতে আবেদন দাখিল করায় আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল না করা হলে বাছাইকালে আবেদন বাতিল করা হয়। বাতিলকৃত আবেদনের বিষয়ে আবেদনকারী সমিতির কাগজ দাখিল করেছে মর্মে অভিযোগ দায়ের করে পরবর্তীতে আবেদন বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, জলমহাল ইজারা গ্রহণের জন্য প্রতিযোগিতা, একাধিক সমিতির আবেদন দাখিলে নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদক্ষেপ হিসেবে সায়রাত মহালসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অনলাইনে ডাটাবেজ (ভূমি তথ্য ব্যাংক) তৈরী শেষ হয়েছে। অনলাইনে ই-নামজারিসহ ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। জলমহাল ইজারার আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া অনলাইনে চালু হলে, জলমহাল ইজারার আবেদন দাখিলসহ ইজারা প্রক্রিয়ার জটিলতা নিরসন সম্ভব হবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিল, হাওর, বাওর, নিম্ন জলাভূমি ও নদ-নদীতে মৎস্য আহরণের এলাকাকে বলা হয় জলমহাল। ছোটো-বড় মিলিয়ে দেশে জলমহালের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। এসব জলমহাল ইজারা দিয়ে বছরে প্রায় কয়েকশ’ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। এরমধ্যে, বেশ কয়েকটি জলমহাল ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে ইজারাবিহীন রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো, দিনাজপুরের রামসাগর, সিরাজগঞ্জের হুরাসাগর। মাছ সংগ্রহের অভয়াশ্রম হিসেবে চিহ্নিত জলমহালের মধ্যে অন্যতম হলো, সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওড় ও মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওড়।