fbpx

অনলাইনে হবে সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এখন থেকে সরাসরি নয়, অনলাইনে হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম। নির্ধারিত সফটওয়্যারে পরিচয়পত্র (আইডি) ব্যবহার করে তারা বদলির আবেদন করবেন। তিন ধাপে অনুমোদন শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বদলির আদেশ জারি হয়ে যাবে।

নতুন পদ্ধতিতে এই বদলি কার্যক্রম আগামী মাসে শুরু হবে। ২৭ জুলাই বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে বদলির এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ইতোমধ্যে গাজীপুরে এই কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) প্রয়োগ করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণজনিত পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের মধ্য মার্চ থেকে বদলির কার্যক্রম বন্ধ আছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বদলিকে কেন্দ্র করে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং উপজেলা পর্যায়ে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। নানা জায়গা থেকে বদলির জন্য সুপারিশ, যোগাযোগ, অনুরোধ, আবেদন, সাক্ষাৎ এগুলো ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এতে পাঠদান কার্যক্রম যেমন বিঘ্নিত হতো, তেমনি শিক্ষকরা ঠিকমতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারতেন না। নতুন এই পদ্ধতির কারণে শিক্ষকদের কারও কাছে যেতে হবে না। বদলির জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না।’

বদলির আবেদন প্রথমে প্রধান শিক্ষক ও পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিষ্পত্তি করবেন। এরপর সেটি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আসবে। তিনি বদলির আদেশ জারি করবেন। এই তিন স্তরের কোথাও ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ফাইল আটকে থাকতে পারবে না। এই তিন দিনের মধ্যে যাচাই করে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে। পাশাপাশি নিষ্পত্তি না করার বিষয়টি মহাপরিচালকের ড্যাশবোর্ডে ‘লাল চিহ্ন’ আকারে উঠবে। তখন তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে কৈফিয়ত তলব করবেন। কোনো কারণ ছাড়া ফাইল নিষ্পত্তি না করলে সংশ্লিষ্টকে শোকজ করা হবে। শোকজে সন্তুষ্ট না হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনলাইনে বদলির এই পদ্ধতি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) মহিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এতে প্রায় পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয় উপজেলাভিত্তিক। এ কারণে তাদের বদলিও নিজ উপজেলার মধ্যেই হওয়াকে স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আর এ কারণে এটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিষ্পত্তি করেন। তবে বিশেষ কারণে অন্য জেলা ও বিভাগে বদলি হওয়া যায়। আর মহানগরী ও পৌরসভা পর্যায়ে বদলির জন্য আলাদা বিবেচনা আছে। অন্য জেলায় বদলির ক্ষেত্রে বিভাগীয় উপপরিচালক আর অন্য বিভাগে বদলির ক্ষেত্রে মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুমোদন লাগে। মহানগরী পর্যায়ে বদলি নিষ্পত্তি করে মন্ত্রণালয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply