অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও টেলিভিশনে ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘ফারাজ- এর প্রদর্শন ও স্ট্রিমিং বন্ধে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, টেলিভিশন ও সিনেমা হলে ‘ফারাজ’ সিনেমার প্রদর্শন ও সম্প্রচার বন্ধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি ইকবাল কবির লিটনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে বিচারকরা তাদের চেম্বার কক্ষে পিটিশনের বিষয়বস্তু সম্পর্কিত চলচ্চিত্রের প্রাসঙ্গিক অংশগুলি দেখেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী আহসানুল করিম, নাহিদ সুলতানা যুঁথি এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
আহসানুল করিম গণমাধ্যমে বলেন, সিনেমা হলে সিনেমা দেখানোর জন্য সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হওয়ায় এ বিষয়ে হাইকোর্ট কিছু বলেননি। তিনি আরও বলেন, ‘ফারাজ সিনেমা হলে প্রদর্শিত হলে পরবর্তী আদেশের জন্য আমরা হাইকোর্টে আবেদন করব।’
রিট আবেদনের বরাত দিয়ে আহসানুল করিম বলেন, ‘ছবিতে অবিন্তার চরিত্রকে এমন পোশাক পরতে বাধ্য করা হয়েছে, যা সভ্য সমাজের কোনো শিক্ষিত পরিবার অনুমতি দেবে না।’
ওই আইনজীবীর ভাষ্য, ফারাজ সিনেমায় মেয়েটির চরিত্রের অবমাননা করা হয়েছে।