হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। তবে শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হলো ইংলিশদের। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১৬ রানের জয় পেলো বাংলাদেশ।
ডেব্যু হওয়া তানভির ইসলামকে দিয়েই বোলিং শুরু করেন সাকিব আল হাসান। হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে, অভিষেক ম্যাচের প্রথম ওভারেই বাজিমাত তানভিরের। তার চমৎকার এক ডেলিভারিতে বিট হন ফিল সল্ট। আর পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা উইকেটকিপার লিটন দাস স্টাম্প করতে একদমই ভুল করেননি। দলীয় মাত্র পাঁচ রানের মাথায়ই ইংলিশ শিবিরে বড় ধাক্কা। টাইগার শিবিরে উল্লাস।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম বলে ওয়াইড দিলেও পরের বলেই ডেভিড মালানের বিপক্ষে এলবিডাব্লিউয়ের জোরালো আবেদন। আউটও দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউয়ে দেখা যায় প্যাডে লাগার আগে বল ব্যাটে লেগেছে। তাই এ যাত্রা রক্ষা পান মালান। এরপর মালান ও জস বাটলারের জুটি এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটের দিয়ে। সতর্কতার সাথে টাইগার বোলারদের খেলতে থাকেন তারা। প্রথম ১০ ওভার শেষে নিজেদের উইকেট অক্ষত রেখে দলের স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৭২ রান।
একপাশে বাটলার আর একপাশে মালান উইকেটে থিতু হয়ে খেলতে থাকেন টাইগারদের বিপক্ষে। দলীয় ১০০ রানের মাথায় মুস্তাফিজের বলে আউট হয়ে ৪৭ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন ডেভিড মালান। আর এই উইকেটের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টিতে ৮১ ম্যাচে ১০০ উইকেটের মালিক বনে গেলেন মুস্তাফিজ। পরের বলেই মিরাজের দুর্দান্ত থ্রোতে রানআউট হয়ে সাঝঘরে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। তার সংগ্রহ ৩১ বলে ৪০ রান।
মালান ও বাটলারের আউটে দারুনভাবে ম্যাচে ফেরে টাইগাররা। ১৬.২ ওভারে তাসকিনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মঈন আলী। তখনও ইংল্যান্ডের দরকার ছিলো ২২ বলে ৪০ রান। একই ওভারের শেষ বলেই ডাকেটকে স্ট্যাম্প উপড়ে দিয়ে সাঝঘরের রাস্তা দেখান টাইগার এই স্পিড স্টার।
১৮তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। ফিজের সেই পুরনো কাটারে বিট হতে থাকে ইংলিশ ব্যাটাররা। আর ১৯তম ওভারে এসে প্রথম বলেই দিনের প্রথম উইকেটটি তুলে নেন সাকিব। ইংল্যান্ডের তখনও প্রয়োজন ১১ বলে ৩১ রান। উইকেটে ক্রিস ওউকস ও ক্রিস জর্দান। বাংলাওয়াশের লজ্জা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টায় তারা।
শেষ ওভার, ইংল্যান্ডের দরকার ২৭ রান। টাইগারদের বোলিং সামাল দিতে সাকিব পাঠালেন হাসানকে। প্রথম দুই বলে দুই চারে অনেকটাই দিশেহারা হাসান। তবে তার পরের চার বলে প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহে ব্যর্থ হয় ইংলিশরা। প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজেই ইংলিশদের বাংলাওয়াশের স্বাদ দিলো টাইগাররা। এ এক অন্যরকম বাংলাদেশ, অন্যরকম অনুভূতি। বাংলার মাটিতে কুপোকাত ইংলিশরা।
গৌরবময় এই জয়ে টাইগারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।