ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে পোস্টার লাগানোর স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হবে। নির্ধারিত স্থানেই কেবল পোস্টার লাগানো যাবে। নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও কেউ পোস্টার লাগাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসির) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে যত্রতত্র অবৈধভাবে পোস্টার, রেক্সিন, দেওয়ালে লেখা, নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার এসব লাগানোর ফলে নগরীর সৌন্দর্য ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। ঢাকা শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় এবং একটি স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে হলে এসব বন্ধ করতে হবে। অবৈধভাবে পোস্টার, ব্যানার লাগালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।‘
শনিবার (০৭ জানুয়ারী) ডিএনসিসির ২য় পরিষদের ১৯তম কর্পোরেশন সভায় মেয়র এসব কথা বলেন। এসময় বিষয়টি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধে আইন রয়েছে। আমরা ডিএনসিসি থেকে এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও জনগণকে সাবধান করেছি। তারপরও অবৈধভাবে পোস্টার লাগিয়ে শহর নোংরা করা হচ্ছে। এটি আর হতে দেয়া যাবে না। আমরা ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছি। অবৈধ পোস্টার ব্যানার লাগালে কোন ছাড় নয়।’
মেয়র আরও বলেন, ‘মেট্রোরেল আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি জনগণের সম্পদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে পড়ে থাকা ময়লা নিজ হাতে কুড়িয়ে পরিষ্কার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে, তাকে অনুসরণ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
কর্পোরেশন সভায় গৃহীত আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্বান্তের মধ্যে রয়েছে- আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েড সিটির সাথে ডিএনসিসির পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। এর ফলে সংস্কৃতি, খেলাধূলা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে উঠবে। জয়েন্ট ভেঞ্চারে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সর্বোপরি, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে।
এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় গণপরিসরে স্ট্রীট ভেন্ডর ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্র্যাকের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সিদ্বান্ত গৃহীত হয়। ফুটপাতে হকারদের ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি ও ব্র্যাক যৌথভাবে কাজ করবে।
সভায় ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় দুই লক্ষাধিক বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শক্তি ফাউন্ডেশন এর সাথে সমঝোতা স্মারকের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
