দেশের অসচ্ছল নারীদের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রামের আওতায় মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেবে সরকার। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
৭ নভেম্বর (সোমবার) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট মিস ওয়েব পোর্টাল এবং ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট কার্যক্রমের (ভিডব্লিউবি) ২০২৩-২০৪ চক্রের উপকারভোগী নির্বাচনের জন্য এ ওয়েব পোর্টাল ও অ্যাপ করা হয়েছে।
এটি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত দেশের গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একটি বৃহত্তর সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি।
প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছে, এ কর্মসূচি নারীদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর আওতায় আগামী জানুয়ারি থেকে দেশের ১০ লাখ ৪০ হাজার দরিদ্র নারীকে দুই বছর মেয়াদে, প্রতি মাসে খাদ্য সহায়তা হিসেবে পুষ্টি সমৃদ্ধ ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের উপকারভোগী হবে অসচ্ছল, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তা নারী, যাদের পরিবারের নিয়মিত উপার্জনক্ষম সদস্য বা নিয়মিত আয় নেই এমন নারী। যারা ভূমিহীন ও নিজ মালিকানা জমির পরিমাণ ০.১৫ শতকের কম। ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারী ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবে।
তিনি বলেন, যে সব পরিবার দৈনিক দিন মজুর হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে এবং মাটির দেয়াল/পাটকাঠি বা বাঁশের তৈরি ঘরে থাকে, যে পরিবারে কিশোরী বা ১৫-১৮ বছর বয়সী মেয়ে, অটিজম/প্রতিবন্ধী সন্তান এবং বিদেশ থেকে প্রত্যাগত অভিবাসী নারীরা এতে অগ্রাধিকার পাবেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ করা উপজেলার পোভার্টি ম্যাপ অনুযায়ী উপজেলাভিত্তিক উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬৪ জেলার ৪৯২ উপজেলায় সব ইউনিয়নে ডিডব্লিউবি কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। পৌরসভা ও সিটি করপোরশন এলাকায় ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট বাস্তবায়ন বা কার্ড প্রদান করা হবে না। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কোনো ইউনিয়ন পৌরসভা/সিটি করপোরশনের অন্তর্ভুক্ত হলে উপকারভোগীদের চলমান খাদ্য সহায়তা ও প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকবে।