fbpx

অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ৯৩ শতাংশের শরীরে রয়েছে অ্যান্টিবডি: ঢামেকের গবেষণা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন, তাদের ৯৩ শতাংশের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একদল গবেষক।

রবিবার (২৭ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এসএম সামসুজ্জামান।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়া ঢামেক হাসপাতালের ৩০৮ জন শিক্ষক, চিকিৎসক এবং কর্মচারীদের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ ফলাফল পেয়েছেন গবেষক দল। এই দলের নেতৃত্ব দেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এসএম সামসুজ্জামান। আর পাঁচ মাস ধরে এই গবেষণা পরিচালিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক সামসুজ্জামান বলেন, ‘টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ৪ সপ্তাহ পর তারা এক দফা নমুনা সংগ্রহ করেন। তখন ৪১ শতাংশের শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়।‘

আর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ২ সপ্তাহ পর, কিন্তু ৪ সপ্তাহের মধ্যে আবারও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে ৯৩ শতাংশ টিকাগ্রহীতার শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

এ গবেষণায় যারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নিয়েছেন, তাদের সবার বয়স ৩০ বছরের বেশি। তাদের ৮০ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি বলে জানান এই গবেষক। বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি হল কি না, তা দেখা।‘

অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা কতদিন থাকবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,’অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পর তা ছয় মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে কতদিন, তা নিয়ে এখনও বিজ্ঞানিদের হাতে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নাই। এটা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।‘

এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. টিটু মিয়া, উপাধ্যক্ষ ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী এবং হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply