fbpx

অ্যা জার্নি বাই মাসুদ রানা টু শাকিব খান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজার সাথে ১৯৯৫ সালে পরিচয় হয় নারায়ণগঞ্জে বেড়ে ওঠা তরুণ মাসুদ রানার। তার মাধ্যমেই এফডিসিতে প্রবেশ করেন মাসুদ রানা। পরিচিত হন বেশ কয়েকজন চিত্রনির্মাতার সঙ্গে। ওই সময় শাকিল খানের সঙ্গে বিরোধের কারণে নতুন নায়ক খুঁজছিলেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। কাকতালীয়ভাবে পেয়ে যান মাসুদ রানাকে। চুক্তিবদ্ধ করেন ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমায়। এ সিনেমার শুটিংয়ে মাসুদ রানার নাম বদলে দেন পরিচালক সোহান। মাসুদ রানা হয়ে যান শাকিব খান।

‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমা দেখে কী কখনো মনে হয়েছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একদিন রাজত্ব করবে সেই হ্যাংলা-পাতলা ছেলেটি! এখন বাংলাদেশের সিনেমা মানেই শাকিব খান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এক চেটিয়া রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে সাফল্য ও দর্শকপ্রিয়তার বিচারে শাকিব খানের ধারে-কাছেও কোনো নায়ককে পাওয়া দুস্কর। তবে একজন সাধারণ মাসুদ রানা থেকে সুপারস্টার শাকিব খান হয়ে ওঠার পথটা সহজ ছিল না। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ শাকিব রাজত্ব করছেন এই চলচ্চিত্র অঙ্গনে। তবে ২০১৬ সালে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা শিকারি দিয়ে পর্দায় এক নতুন শাকিব খানের দেখা মেলে। চারদিকে সাড়া ফেলে তার সেই নতুন রূপ। বাংলাদেশের পাশাপাশি শাকিব ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে উঠেন আলোচিত। বলা যায় তারকা শাকিবের নবজন্ম ছিল সেই বছর। এরপর নবাব, সত্ত্বা এবং বীর সিনেমা দিয়েও হইচই ফেলে দেন শাকিব।

১৯৯৯ সালের আজকের দিনে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পেয়েছিল।সেই হিসেবে আজ শাকিবের ক্যারিয়ারের ২৪ বছর। এমন বিশেষ দিনে সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতেও ভুল করেননি শাকিব খান।

দিনটিতে স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে শাকিব খান বলেন,যখন চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করি তখন আমি অপরিপক্ক কিন্তু দূরদর্শী ছিলাম। জানতাম না কোথায় যাচ্ছি বা কি করব! শুধু এটুকু জানতাম, আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং কোনো সময় হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। আজ যখন ফিরে তাকাই, তখন আমি সকল মানুষ এবং অভিজ্ঞতার কাছে কৃতজ্ঞ।

এই শাকিব খান আরও যুক্ত করেছেন,‌’আমার প্রথম চলচ্চিত্র ‘অনন্ত ভ্যালোবাসা’র পরিচালক এবং প্রযোজকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, যারা আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। এরপর আমার সকল পরিচালক, প্রযোজক, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিচ্ছি যাদের জন্য আজকের আমি তৈরি হয়েছি।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘধীতে জন্মগ্রহণ করেন শাকিব। যদিও সে সময় শাকিব খান ছিলেন শুধুই মাসুদ রানা। ১৯৯৯ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন শাকিব। সে সময়ই নাম পাল্টে মাসুদ রানা থেকে শাকিব খান হয়ে ওঠেন তিনি।

এই নামের প্রসঙ্গে শাকিব খান জানিয়েছিলেন, সোহানুর রহমান সোহান ভাইসহ প্রথম সিনেমার ইউনিট বেশ কয়েকটি নাম পছন্দ করেছিলেন। সেখান থেকে আমিই শাকিব খান নামটি পছন্দ করেছিলাম।

২৪ বছরের কর্মজীবনে শাকিবের ঝুলিতে এসেছে একাধিক পুরস্কার। যার মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার,তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার।

ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না, খোদার পরে মা, আরো ভালোবাসবো তোমায় এবং সত্তা সিনেমার জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

সাফল্য শাকিবকে এত উচ্চতায় নিয়ে গেছে যে, ভক্তরা নামে নয়, ‘সুপারস্টার’, ‘কিং খান’, ‘ঢালিউড কিং’ এইসব বিশেষণে ডাকতেই বেশি আনন্দ পান। তবে সেই সাধারণ মাসুদ রানা থেকে আজকের এই সুপারস্টার শাকিব হতে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক চড়াই-উতরাই। ভালোবাসা, কঠোর পরিশ্রম, আর স্বপ্নকে বাস্তব হতে দেখার জন্য ব্যর্থতার পরও কাজ করে যাওয়া এই মন্ত্রেই তিনি হয়ে উঠেছেন আজকের সুপার স্টার।

Advertisement
Share.

Leave A Reply