স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া শহরের একটি উঁচু আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৬ কর্মী এবং এক শিশুসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। পুরো ভবনে দাও দাও করে আগুন জ্বলছে।
ধারণা করা হচ্ছে, বহু মানুষ এই ভবনে আটকে রয়েছেন। তাই হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির জরুরি পরিষেবাগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বিশাল ভবনের ১৪ তলা পর্যন্ত আগুন দাও দাও করে জ্বলছে। পাশের একটি ভবনেও ছড়িয়ে পড়েছে। অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের বারান্দা থেকে লোকদের উদ্ধার করতে দেখা গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বহুমানুষ ভেতরে আটকে থাকতে পারে।
আগুন জ্বলা অব্যাহত আছে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। লোকজনকে এলাকা থেকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
আগুন লাগা ওই ভবনে ১৩৮টির মতো ফ্ল্যাট রয়েছে এবং ৪৫০ জনের মতো বাস করেন। বিল্ডিংটির ম্যানেজারের বরাত দিয়ে সংবাদপত্র এল পাইস এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দমকলকর্মীরা ক্রেন ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে সপ্তম তলায় থাকা এক দম্পতিও রয়েছে।
আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পর ওই বিল্ডিং নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভ্যালেন্সিয়ার কলেজ অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসথার পুচাদেস স্প্যানিশ বার্তা সংস্থা ইফেকে বলেছেন, তিনি আগে ভবনটি পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, এর বাইরের অংশে একটি পলিউরেথেন উপাদান রয়েছে, যা আগুনকে বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
ভবনের দ্বিতীয় তলায় বসবাসকারী এক ব্যক্তি টিভি চ্যানেল লা সেক্সতাকে বলেন, আগুনের সূত্রপাতের পর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চতুর্থ তলায় আগুন লাগে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ছয় দমকলকর্মী এবং এক শিশুসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। ‘আগুন ১০ মিনিটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ’
বিল্ডিংয়ের সামনের অংশে থাকা উপাদানের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে ধারনা করা হচ্ছে।
