করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর বাংলাদেশের হজযাত্রীগণ হজে গমনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে রাজকীয় সৌদি সরকার সহসাই ডিক্রি জারি করবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী আশকোনা হজ ক্যাম্পে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ সংস্থা ও সংগঠনের অংশীজনের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে যারা হজের নিবন্ধন করেছেন তারাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে গমন করতে পারবেন। কোন ক্রমেই ক্রমধারা (সিরিয়াল) ভঙ্গ কর হবে না। হজের পুরো কার্যক্রম অটোমেশন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হতে হজে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হলে সন্মানিত হজযাত্রীগণ যাতে সুষ্ঠু ভাবে হজ পালন করতে পারেন এ বিষয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে।
পুর্বের যেকোন হজের চেয়ে আগামী হজকে আরও উন্নত, নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হতে কত সংখ্যক হজযাত্রী হজে গমন করতে পারবেন বিষয়টি সৌদি- বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তিতে নির্ধারিত হবে।
ফরিদুল হক বলেন, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা হয়েছিল। এ বছর বাংলাদেশের পূর্ণ সংখ্যক হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা হবে।
বিমানের পর্যাপ্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা, প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত শিডিউল ঠিক রাখা, সহজে টিকেট প্রাপ্তি, হজ যাত্রীদের লাগেজ পরিবহন, পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজীকরণ, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সেবা, সৌদি আরব অংশে খাবার, আবাসন ও পরিবহন সহ যাবতীয় সেবার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকেই সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথাও জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক।