fbpx

আজিমপুর, মোহাম্মদপুর ও গাবতলীর সব বাসে কাল থেকে ই-টিকিট

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর গাবতলী, মোহাম্মদপুর ও আজিমপুর অঞ্চলের সব কোম্পানির বাস ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে যাত্রী নেবে। এই ৩ অঞ্চলের ১৫টি বাস কোম্পানির ৭১১টি বাস ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করবে। এ ছাড়া আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় চলাচলকারী দেশের সব বাস কোম্পানিকে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনা হবে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রমনা এলাকায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এসব কথা বলেন।

এর আগে মিরপুর অঞ্চলের সব কটি বাস কোম্পানিতে, অর্থাৎ ৩০টিতে ই-টিকিটিং চালু করা হয়। এর মধ্যে ২২ সেপ্টেম্বর প্রথমে ৮টি বাস কোম্পানিতে পরীক্ষামূলকভাবে এবং পরবর্তী সময় ১৩ নভেম্বর থেকে ওই অঞ্চলের আরও ২২টিতে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করা হয়।

ই-টিকিটিংয়ের কাজ পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সঠিকভাবে ই-টিকিটিং পদ্ধতি পরিচালনা পর্যবেক্ষণের জন্য সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষে চারটি ভিজিল্যান্স টিম করা হয়েছে। তারা প্রতিদিনই পর্যবেক্ষণের কাজ করছে। এর বাইরে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি থেকে আরও ৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাসগুলোয় প্রতিদিন বিশেষ তল্লাশি চালান। ওই কর্মীরা ঠিকমতো মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন কি-না, তা যাচাইয়ে কর্মীদের মুঠোফোন কার্যালয় থেকে ট্র্যাকিং করা হয়।

এ কাজে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে জানিয়ে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘সবাই যে শতভাগ করতে পারছেন, সবকিছু যে নিয়মে চলে আসছে, তা বলব না। অনেক অনিয়ম পাচ্ছি, এগুলো নিয়ে কাজ করছি। পরিবহন কোম্পানিগুলোর মহাব্যবস্থাপক ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। যখন যে বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাচ্ছি, তখনই ওই গাড়ির মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে। ঢাকা শহরের পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। যাত্রীদের কাছ থেকে কিছু সমস্যা পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি বাসে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘টিকিট ছাড়া যাতে কেউ ভাড়া পরিশোধ না করেন। এরপরও যাত্রীরা এটা শতভাগ পালন করছেন না। তাই টিকিট ছাড়া ভাড়া নিলে কিংবা দিলে জরিমানার করার চিন্তা করা হচ্ছে। কারণ, কঠোর হওয়া না গেলে শতভাগ সফলতা পাওয়া যাবে না।

আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা ও ঢাকা শহরের আশপাশের সব কটি বাস কোম্পানিকে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনা হবে জানিয়ে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আগামীকাল থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলী অঞ্চলের বাসগুলো ই-টিকিটিংয়ের আওতায় চলে এলে মোট ৪৫টি কোম্পানিকে এ পদ্ধতির আওতায় চলে আসবে। আমরা কথা দিয়েছিলাম ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বাসে এ পদ্ধতিতে ভাড়া আদায় হবে। পর্যায়ক্রমে সেটি বাস্তবায়নের দিকেই আমরা এগোচ্ছি।’

মালিক সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ৬০টি বাস কোম্পানি ও শহরতলি এলাকায় ৩৭টি বাস কোম্পানি মিলিয়ে মোট ৯৭টি বাস কোম্পানি রয়েছে। ঢাকা ও শহরতলি মিলিয়ে বাস আছে মোট ৫ হাজার ৬৫০টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার অভ্যন্তরে চলাচল করে ৩ হাজার ৩১৪টি বাস। বাকিগুলো চলে ঢাকাসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলায়।

আগামীকাল থেকে মেসার্স ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন লাইন পরিবহন, দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ, মালঞ্চ পরিবহন, তরঙ্গ প্লাস ট্রান্সপোর্ট, আলিফ এন্টারপ্রাইজ (রুট: এ-১৪১), আলিফ এন্টারপ্রাইজ (রুট:এ-২৯২), অভিনন্দন ট্রান্সপোর্ট, বিকাশ পরিবহন, গাবতলী এক্সপ্রেস, মেঘলা ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি, ভিআইপি অটো মোবাইলস, রমজান আলী এন্টারপ্রাইজ, মিডলাইন পরিবহন এবং স্বপ্ন পরিবহনের বাস ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা, বিভিন্ন বাস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ও চেয়ারম্যান এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply