fbpx

আজ খুলছে দক্ষিণের রেলের দুয়ার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলাগুলোর জন্য একটি বিশেষ আনন্দের দিন। বছরের পর বছরের এক অপেক্ষার অবসান হওয়ার দিন। পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণের পথে রেলপথ চালু হতে যাচ্ছে আজ।

রেলওয়ের তথ্য অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মাওয়া রেলস্টেশন থেকে নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর মাওয়া স্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে যাবে।

এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আরও ১১ জন যাত্রী সঙ্গী হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে যারা ট্রেনযাত্রায় সঙ্গী হবেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ, সবজি বিক্রেতা হেলালউদ্দিন, গার্মেন্টস কর্মী রেখা বেগম, হকার রহিম শেখ, বাসচালক সুলতান আহমেদ, খ্রিস্টান মিশনের পালক সাথী চক্রবর্তী, আদর্শ পেঁয়াজ বীজ চাষি সাহিদা বেগম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী স্বর্ণজিৎ ঘোষ, নুসরাত জাহান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস।

চীন থেকে আমদানি করা ১৪টি কোচ দিয়ে সরকারপ্রধানের জন্য ট্রেনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন রেলপথটি ঢাকার গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাদারীপুর–ফরিদপুর গেছে। আগামী বছর এই রেলপথের বাকি অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত চালুর লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

বেলা দুইটায় ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪৩ জেলায় রেলপথ রয়েছে। ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুর রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। ঢাকার দক্ষিণের উপজেলা কেরানীগঞ্জে এত দিন রেল যোগাযোগ ছিল না। যশোর পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে নড়াইল নতুন করে যুক্ত হবে। ভবিষ্যতে ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আছে রেলওয়ের। বর্তমানে বরিশাল বিভাগে কোনো রেলপথ নেই।

তিন অংশে ভাগ করে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম অংশ ঢাকা-মাওয়ার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৮ কিলোমিটার। এই অংশে কেরানীগঞ্জে একটি নতুন স্টেশন তৈরি হচ্ছে। মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। এই অংশে নতুন স্টেশন ভবন রয়েছে পাঁচটি। এই দুই অংশ আজ উদ্বোধন হচ্ছে।

প্রকল্পের শেষ অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর। এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৩ কিলোমিটার। স্টেশনের সংখ্যা ১৪। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথটি চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply