দেশের শেয়ারবাজারে যেন শনির দসা লেগেই আছে। আড়াই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে সর্বনিম্ন, ২০০ কোটি টাকার কম।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) শেয়ারবাজারে ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা লেনদেন হয়, যা গত ২ বছর ৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ২২৭ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার। সেটি ছিল ২০২০ সালের ১৬ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন লেনদেন।
সোমবার ৬৩টি কোম্পানির একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি। এর মধ্যে লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল দুটির। আগের কর্মদিবসে রেকর্ড ডেটের বাইরে কোনও শেয়ার লেনদেন হয়নি ৮১টি কোম্পানির।
করোনাভাইরাসের কারণে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় লকডাউন দেওয়ার ঘোষণায় বাজারে যে আতঙ্ক ছিল, এখনকার পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ। এই বিধিনিষেধে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে, এমন শঙ্কায় ৪ এপ্রিল ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা লেনদেন হয়। এরপর থেকেই বাজারে লেনদেন বাড়তে থাকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তলানিতে নামলেও গত দুই বছরে লেনদেন ২০০ কোটির নিচে নামেনি, কিন্তু সোমবার ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা লেনদেন হয়। এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ২০২০ সালের ৭ জুলাই। ওই দিন হাতবদল হয়েছিল ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
গেল বৃহস্পতিবার সূচক ৩ পয়েন্ট বাড়লেও সোমবার তা কমলো ১২ পয়েন্ট। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করে ৬ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে।
অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কার মধ্যে গত জুলাইয়ে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতনের মধ্যে ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। এরপর ৩১ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়।