fbpx

আদালতে মুনিয়া হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিল পিবিআই

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান ওরফে মুনিয়া হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। যেখানে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ অন্যদের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মোসারাতকে হত্যার অভিযোগে করা নালিশি মামলার সব আসামির অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পিবিআই। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোসারাতকে হত্যার অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন রাতে তার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলা করেন। এই মামলায় গত বছরের জুলাইয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

ডিবির দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত বছরের ১৮ আগস্ট গ্রহণ করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। তখন মামলা থেকে অব্যাহতি পান একমাত্র আসামি সায়েম সোবহান।

এরপর মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে নতুন মামলা করা হয়। তার বোন নুসরাত গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ নালিশি মামলাটি করেন।

মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলায় সায়েম সোবহান ছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, তার স্ত্রী আফরোজা সোবহান এবং সায়েমের স্ত্রী সাবরিনাকে আসামি করা হয়। মামলার বাকি আসামিরা হলেন- সাইফা রহমান, ফারিয়া মাহবুব, শারমিন ও ইব্রাহিম আহমেদ। পরে এই মামলায় সাইফা ও ফারিয়াকে গ্রেপ্তার দেখায় পিবিআই।

মোসারাত জাহান মুনিয়া মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা মৃত শফিকুর রহমান। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজির দীঘি এলাকায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply