টানা বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায়। যাতে বাড়ছে জলাবদ্ধতা। পানি জমে থাকা যা ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপের আভাষ দেয়। আশঙ্কা করেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা।
জুলাই মাসের শেষ দিক থেকেই ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ছয় দিনে ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এখন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে; সাথে আছে গরমও। এই ধরণের আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়া এডিস মশা বৃদ্ধির অনুকূলে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এ মাসজুড়েই এমন অবস্থা থাকতে পারে। কীটতত্ত্ববিদ এবং জনস্বাস্থ্যবিদদের আশঙ্কা, এ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর বিস্তার আরও বাড়তে পারে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে ঢাকায় ১০ জন ও ঢাকার বাইরে ৪ জন মারা গেছেন। এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে ২ হাজার ১১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৩৩ এবং ঢাকার বাইরের জেলার হাসপাতালগুলোয় ১ হাজার ২৮২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে মোট ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ২২ জন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৩ হাজার ২৭৩ এবং ঢাকার বাইরে ৭৪ হাজার ৭৪৯ জন রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআর উপদেষ্টা গত বছরের উদাহরণ টেনে জানান, গতবার সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছিল অক্টোবর মাসে।
এ মাসে থেমে থেমে বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, এমন মন্তব্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদের। তিনি বলেন, এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আবার তাপপ্রবাহও বইছে বিভিন্ন এলাকায়।
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল গত বছর, ২৮১ জন। চলতি বছর অনেক আগেই সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।
