বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ –বিআরটিএ প্রায় তিন বছর পর আবারও দেওয়া শুরু করেছে ড্রাইভিং লাইসেন্স।
বিআরটিএ সূত্র থেকে জানা গেছে, গ্রাহকদের হাতে কোন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স তুলে দিবে, সেই চুক্তি নিয়েই এতোদিন আটকে ছিল বিআরটিএ। এখন সেই কাজ শুরু করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স।
মাদ্রাজ প্রিন্টার্স সূত্র জানায়, রাজধানীর পল্লবীতে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার মানুষের বায়োমেট্রিক করছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি,পরীক্ষা দেওয়ার পরও যাদের লাইসেন্স নানা জটিলতায় আটকে ছিল তাদেরও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম শুরু করেছে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স।
প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে আরও জানিয়েছে, এরইমধ্যে সারা দেশে ৬৯টি বায়োমেট্রিক মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। তবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে যাদের পাসপোর্টের তথ্যের মিল নেই, সেসব গ্রাহকের লাইসেন্স নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
এদিকে বিআরটিএ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি আগামী অক্টোবর থেকে আটকে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড ছাপার কাজ শুরু করবে। পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে আটকে থাকা ১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বিআরটিএর রোড সেফটির পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব ই রাব্বানী এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পুরাতন প্রায় ১২ লাখের বেশি যে লাইসেন্সগুলো পড়ে ছিল, সেগুলো নিয়ে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে দিয়েছে। আগামী মাস থেকে কার্ড প্রিন্টিংয়ে চলে যাবে। অর্থাৎ, লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে যে সমস্যা ছিল তা আর থাকছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে বিআরটিএর টেন্ডার জটিলতার কারণে দেশজুড়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ ছিল।