fbpx

আবারও পিছিয়ে গেল মডেল তিন্নি হত্যার রায়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আবারও পিছিয়ে গেল মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায়।

ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

গত ২৬ অক্টোবর এ মামলার রায়ের দিন থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষ নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনানির আবেদন করলে রায় পিছিয়ে ১৫ নভেম্বর নতুন তারিখ রেখেছিলেন বিচারক।

কিন্তু সোমবার সেই নির্ধারিত তারিখে তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম এবং চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম আদালতে হাজির হয়ে তাদের জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত বলেন, ‘তিন্নির বাবার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল আংশিক, চাচা আগে সাক্ষ্য দেননি। আদালতে এসে তারা বলেছেন তারা সাক্ষ্য দিতে চান। সেজন্য আদালত সময় দিয়েছে। তাই আজ রায় হচ্ছে না।’

সাবেক ছাত্রদল নেতা গোলাম ফারুক অভি এ মামলার একমাত্র আসামি, যিনি পরে জাতীয় পার্টির টিকেটে সাংসদ হয়েছিলেন। একটি হত্যা মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে তিনি এখন কানাডায় আছেন পালিয়ে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর বুড়িগঙ্গার চীন মৈত্রী সেতুর নিচ থেকে তখনকার জনপ্রিয় মডেল তিন্নির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।  মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তখনকার এএসআই মো. সফি উদ্দিন।

মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই মো. কাইয়ুম আলী সরদার। পরবর্তীতে মামলাটিকে  ‘চাঞ্চল্যকর মামলা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর এর তদন্তভার পায় সিআইডি। তখন তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

এরপর সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজের হাত ঘুরে তদন্তের দায়িত্ব পান এএসপি মোজাম্মেল হক। তিনি ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর গোলাম ফারুক অভিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সেখানে বলা হয়, সাবেক ছাত্রনেতা অভি ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ চাপা দিতে তিন্নিকে খুন করেন এবং লাশ ওই সেতুর নিচে ফেলে রাখেন।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় গোলাম ফারুক অভি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অভি ‘অস্ত্রবাজ নেতা’ হিসেবে আলোচিত ছিলেন।

মামলা হওয়ার পর পুলিশ সে সময় তিন্নির স্বামী শাফাকাত হোসেন পিয়াল, এবায়দুল্লাহ ওরফে স্বপন গাজী, গাজী শরিফউল্লাহ তপন, শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও সোমনাথ সাহা বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে তাদের কারো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই পলাতক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ। অভিযোগপত্রভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় পরবর্তীতে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply