fbpx

আরও ৯১৭টি বাসে ই-টিকেটিং চালু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আরও ১৩টি কোম্পানির ৯১৭টি বাসে ই-টিকেটিং পদ্ধতিতে ভাড়া চালু করা হবে। বুধবার (১ মার্চ) থেকে এ পদ্ধতি কার্যকর হবে। ঢাকা ও এর আশপাশের রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের অভিযোগ ই-টিকেটিংয়ের টিকেটে দূরত্ব অনুযায়ী কিলোমিটার উল্লেখ নাই। দূরত্ব উল্লেখ করে ভাড়ার চার্ট তৈরি করার জন্য আমরা বিআরটিএকে অনুরোধ জানিয়েছি। সে মোতাবেক বিআরটিএ ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ ৪৬টি পরিবহনের স্টপেজের দূরত্ব মাপার কাজ শেষ হয়েছে। দূরত্ব অনুযায়ী কিলোমিটার উল্লেখ করে ভাড়ার চার্ট তৈরির কার্যক্রম চলছে। আশা করি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভাড়ার চার্ট পাওয়া যেতে পারে। ভাড়ার চার্ট পেলে ডিভাইসে কিলোমিটার উল্লেখ করে দেবো।’

এনায়েত উল্ল্যাহ জানান, ই-টিকেটিংয়ের এই ১৩টি কোম্পানি হচ্ছে- আকাশ এন্টারপ্রাইজ (সদরঘাট- ধউর) ভিক্টর ক্লাসিক বাস মালিক সমিতি (সদরঘাট-ধউর), ৬ নম্বর মতিঝিল-বনানী ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি (প্রা.) লি. (কমলাপুর-নতুনবাজার), গ্রিন অনাবিল পরিবহন লি. (সাইনবোর্ড-গাজীপুর), গ্রেট তুরাগ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লি. (যাত্রাবাড়ী-টঙ্গী স্টেশন রোড), অনাবিল সুপার লি. (সাইনবোর্ড-গাজীপুর) রাইদা এন্টারপ্রাইজ লি.(পোস্তগোলা ধউর) আসমানী পরিবহন লি. (মদনপুর-আব্দুল্লাহপুর)।

এছাড়া আছে সময় ট্রান্সপোর্ট লি. (গুলিস্তান-কাঁচপুর), বৈশাখী পরিবহন লি. (সাভার নতুনবাজার) ও রইছ পরিবহন লি. (সাভার-নতুনবাজার), এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মিনিবাস মালিক সমিতি (কদমতলী-আব্দুল্লাহপুর) ও মঞ্জিল এক্সপ্রেস লি. (কাঁচপুর-ধউর)।

মালিক সমিতির মহাসচিব জানান, প্রথম পর্বে গত বছরের ১৩ নভেম্বর তারা ৩০টি কোম্পানির ১৬৪৩টি বাসে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় পর্বে ১৬টি কোম্পানির ৭১৭টি গাড়িতে ই-টিকেটিং চালু করেছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে মোট ৪৬টি পরিবহন কোম্পানির ২৩৬০ গাড়ি। আর এখন মোট ৫৯ কোম্পানির ৩৩০৭টি বাস ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আসলো।

তিনি বলেন, ‘মোট ৪৬টি কোম্পানির ৭০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ গাড়িতে ই-টিকেটিং পদ্ধতি কার্যকর হয়েছে। বাকি গাড়িতে কার্যকর করার লক্ষ্যে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ৯টি ভিজিল্যান্স টিম প্রতিদিন কাজ করছে। এছাড়া সমিতির নিয়োগ করা ৯ জন স্পেশাল চেকার প্রতিদিন সড়কে গাড়িগুলো মনিটর করছে। এখনও যারা নিয়মের মধ্যে আসেনি, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply