fbpx

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনে সতর্ক থাকার নির্দেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ভার্চুয়াল সম্পদ ও ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেন এবং তাদের বিনিময় বা স্থানান্তর বা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা এবং এ-সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের লেনেদেনে জনগণকে সচেতন করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ বৃহস্পতিবার ‘ভার্চুয়াল সম্পদ ও ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেন এবং তাদের বিনিময় বা স্থানান্তর বা বাণিজ্য সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা’ শিরোনামে সার্কুলার জারি করেছে । সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এই প্রজ্ঞাপন পাঠানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন বিদেশি ভার্চুয়াল অ্যাসেট সার্ভিস প্রোভাইডার তাদের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে দেশে কার্যরত কোনো কোনো তফসিলি ব্যাংকের গ্রাহক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ভার্চুয়াল মুদ্রা, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফরেন কারেন্সি ইত্যাদির লেনদেন, ক্রয়-বিক্রয়, পুনর্বিক্রয়, পিটুপি বিনিময় বা স্থানান্তর বা বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভার্চুয়াল সম্পদ ও ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেন এবং তাদের বিনিময়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা এবং এ-সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের কার্যক্রমে বিরত থাকতে সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্টেকহোল্ডারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় এবং শাখাগুলোর দর্শনীয় স্থানে জনসাধারণের বোধগম্য করে এসব প্রদর্শন এবং প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের যেকোনো প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল সম্পদ ও ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেন বিষয়ে অবহিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিটকয়েন ছাড়াও লাইটকয়েন, এথেরিয়াম, রিপলের মতো কিছু ভার্চুয়াল মুদ্রাও আছে। এসব মুদ্রায় বিশ্বব্যাপী লেনদেন বাড়ছে। বাংলাদেশে এসব মুদ্রায় লেনদেন বে-আইনি হওয়ার পরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেশের ভেতর থেকে বিদেশে এ ধরনের মুদ্রায় লেনদেন হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে এসেছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply