আগামী আষাঢ় মাস থেকে এডিস ও ডেঙ্গু মশা নিধনে মূল অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার ওয়ারিস্থ ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত এডিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ চিরুনি অভিযানের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তাপস বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে শুরু হলে আমাদের দুটি মূল কাজ অগ্রাধিকার পায়। একটি হলো মশক নিধন ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাতে করে ঢাকাবাসী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয় এবং দ্বিতীয়ত হলো জলাবদ্ধতা নিরসন, যাতে করে জলমগ্নতা না হয়। এই দুটি বিষয়কে বিবেচনা করেই আমরা এবার অগ্রিম কাজ আরম্ভ করেছি।’
আগামী আষাঢ় মাস থেকে মূল অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এরই মাঝে আমরা সরকারের কাছে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি যাতে করে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারি। এছাড়াও এ মাসের ১৬ তারিখে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা করতে যাচ্ছি।’
এ সময় ঢাদসিক মেয়র তিনটি বাড়ির ছাদবাগান ও ছাদ স্বশরীরে প্রত্যক্ষ করেন এবং পানি জমে আছে এমন স্থানে কীটনাশক প্রয়োগের নির্দেশ দেন।
এদিন দুপুরে মিলব্যারাক সংলগ্ন ধোলাইখাল পাম্প স্টেশন ও জলাধার পরিদর্শন শেষে অপরিচর্যিত ছাদবাগান ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেন।
তাপস বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গত বছর একটানা চার মাস বৃষ্টি হয়েছে। এবারও যদি সে রকম হয় তাহলে আমাদের জন্য কাজ করা অত্যন্ত দুরূহ হবে।’
আমাদের বাসায়, স্থাপনায়, বাড়ির আনাচে-কানাচে, ছাদবাগানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। অপরিচর্যিত ছাদবাগানে আমরা পানি জমে থাকতে দেখি এবং সেখানে লার্ভা জন্মায়। কিন্তু ছাদবাগান যদি যথাযথভাবে পরিচর্যা করা হয় তাহলে সেখানে লার্ভা জন্মাতে পারে না। সুতারাং, অপরিচর্যিত ছাদবাগান ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চান দক্ষিণের মেয়র।