fbpx

ইউরোপে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২২ সালের জানুয়ারি-নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

ইইউ দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। আমদানি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রয়েছে প্রথম স্থানে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ১১৮ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে এ অঞ্চলের দেশগুলো। এ হিসেবে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় আমদানি বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব থেকে ৯ হাজার ৫১৭ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

চীন ২৯ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইইউর সর্ববৃহৎ পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের ১১ মাসে চীন থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৯৮ কোটি ডলার। বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি ছিল ১৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই পরিসংখ্যানের উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয়, ইউরোপেও আমরা দ্বিতীয়। ভালো সংবাদ যে, ইউরোপে প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমরা প্রথম। আমরা প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছি। বাংলাদেশ সাড়ে ৩৮ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, চীনের অর্জন ২০ শতাংশের মতো।

বিজিএমইএ পরিচালক বলেন, আমদানি কমলেও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যদের চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ক্রেতাদের বাংলাদেশের প্রতি আস্থা বেশি বলে জানান মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, চীন ও অন্যান্য দেশের বিবেচনায় গ্রীন ফ্যাক্টরি ও নতুন নতুন পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো করছে।

ইউরোস্ট্যাট জানায়, একই সময়ে তুরস্ক থেকে আমদানি ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, মোট আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০৯ ডলার। ভারত থেকেও আমদানি ৪৫৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ইইউ অঞ্চলে অন্য শীর্ষ সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি যথাক্রমে ৩৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ৩৪ দশমিক ১৬ শতাংশ, ২৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ, ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ২৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply