fbpx

ইন্টারনেটের দাম কমাতে অনড় বিটিআরসি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। মূলত প্যাকেজ সংখ্যা কমানোর পরই এ অভিযোগ ওঠে। এতেই ক্ষেপেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। ডেটার এ বর্ধিত দাম ১২ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার অপারেটরদের লিখিত আকারে বিষয়টি জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে মোবাইল কোম্পানিগুলো বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়।

বিটিআরসির নির্দেশনা অনুসারে গত ১৫ অক্টোবর থেকে ইন্টারনেটের তিন দিন ও ১৫ দিনের প্যাকেজ বন্ধ করে দেয় মোবাইল অপারেটররা। এখন শুধু সাত দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড প্যাকেজ চালু আছে। যদিও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬৯ দশমিক ২৩ শতাংশই তিন দিন মেয়াদের ডেটা প্যাকেজ ব্যবহার করতেন। প্যাকেজের সংখ্যা কমানোর পর ডেটার দাম বেড়ে যায়। অপারেটর ভেদে প্রতি জিবিতে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ায় অপারেটররা। বর্তমানে দেশে চার মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট গ্রাহক ১৩ কোটি ১৯ লাখ।

এদিকে ডেটার দাম বাড়াতে ক্ষুব্ধ হয় সরকার। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ইন্টারনেটের দাম বৃদ্ধি গ্রাহকদের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সরকারের ওপর মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সমালোচনায় পড়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এরপরই গত রোববার অপারেটরদের সঙ্গে বিটিআরসি কার্যালয়ে বৈঠক করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
নির্বাচনের আগে ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোর বিষয়টিকে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে আগের অবস্থায় ইন্টারনেটের দাম ফিরিয়ে নিতে বলা হয়। একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন পর্যন্ত হলেও ডেটার দাম কামনোর চাপ রয়েছে সরকারের।

সরকারের মনোভাব জানানোর পর অপারেটররা বিষয়টির সুরাহার জন্য বিটিআরসির সঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করে। এজন্য গত সোমবার মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার বিটিআরসিকে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন। তাতে সাড়া দেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বিটিআরসি সাফ জানিয়ে দেয়, দাম কমানোর আগে কোনো আলোচনা হবে না।

Advertisement
Share.

Leave A Reply